কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতের প্রকোপে মানুষ জড়োসড়ো হয়ে রয়েছে। শনিবার(২৪ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার ছিল ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।আগামী ৪৮ঘন্টায় এ আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে। এ ছাড়া রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ তুহিন। ঘন কুয়াশার কারণে গত ২/৩ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিললেও তীব্রতা ছিল একেবারেই কম। এতে করে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন সর্দ্দি-জ্বর, এজমা ও কাশিসহ নান সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ভুগছেন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হতে পারে না মানুষ। দুই দিনে গরম কাপড় ও জুতার দোকানে ভিড় বাড়ছে অতুলনীয়। এদিকে গরম কাপড়ের জন্য ছিন্নমুল মানুষ উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন এনজিও ও সামাজিক সংগঠনের কাছে যাচ্ছে। না পেয়ে খালি হাতে ফিরে আসছে শীতার্ত মানুষরা।
শনিবার (২৪ডিসেম্বর) সকাল থেকে অবধি সূর্যের দেখা মিলেনি। সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করেছে। প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন অনেকেই।
শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় কাজে যোগদান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। সেই সাথে শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদিপশুগুলোও। খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।