বিয়ের দশ মাসের মাথায় মানসুরা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধু স্বামীর বাড়িতে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় পর পরই নিহত গৃহবধুর স্বামী বাড়ি থেকে পলায়ন করে। ঘটনাটি গত শুক্রবার বিকালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাড়া সান্দিয়াইন গ্রামে ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ মাস পূর্বে উপজেলার বাড়াভাটি পাড়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে মানসুরা আক্তারের সাথে পাশ^বর্তী পাড়া সান্দিয়াইন গ্রামের শওকত আলীর ছেলে হাফেজ ওবায়দুল্লাহর (২৩) পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। হাফেজ ওবায়দুল্লাহ পাশ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলায় একটি মসজিদে ইমামতি করেন। শুক্রবার বিকাল সোয়া তিনটার দিকে গৃহবধু মানসুরা আক্তার দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বসতঘরের দরজা বন্ধ রাখে অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় স্বজনরা গফরগাঁও থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় নিহতের স্বামী হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বাড়িতেই ছিলেন। তবে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে যাওয়ার পূর্বেই ওবায়দুল্লাহ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে গফরগাঁও থানার এস.আই সফিকের নেতৃত্বে পুলিশ বাড়ির লোকজনের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ধর্নার সাথে গলায় ওড়না বাধা গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মা সেলিনা খাতুন গফরগাঁও থানায় একটি ডায়েরী করেছেন।
গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।