নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিবাদীর বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৫ ডিসেম্বর ওই অভিযোগ করেন মামলার বাদি জিয়া রহমান। তিনি জানান ধলাগাছ এলাকায় ১৩ শতক জমি বায়নামাপত্র করা হয় কামারপুকুর বাগডোকরা এলাকার মৃত আশরাফ আলির ছেলে ইউসুফ আলির কাছ থেকে। ওই জমিতে বাগডোকরা এলাকার মৃত আশরাফ আলির ছেলে নীলফামারী জেলা খাদ্য অধিদপ্তর অফিসের কম্পিউটার অপারেটর সমশের আলি, মনোয়ারা বেগম, মোঃ ইশার স্ত্রী মোছাঃ মুন্নি বেগম ও তারাগঞ্জ উপজেলার মধুরামপুর এলাকার মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে আতিয়ার রহমান গং ইট,বালু,সিমেন্ট এনে জোড় করে পাকা বাড়ী নির্মাণ কাজ শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সেখানে গিয়ে তাদের কাজে বাঁধা প্রদান করি। এ অবস্থায় তাদের সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে এক পর্যায় তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাদের ভয়ে আমি সেখান থেকে চলে এসে ওইদিন ১০ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রী করি। যাহার নং-৭২৪।
ওই অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থানে পুলিশ তদন্তে যান এবং বিবাদীকে পাকাকরণ কাজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়ে চলে আসেন। পুলিশ সেখান থেকে চলে আসার পর বিবাদীগণ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। প্রাণে মেরে ফেলবে এমন হুমকি প্রদান করে।
এ অবস্থায় তারা গত ২৪ নভেম্বর আবার ওই জমিতে কাজ শুরু করে। এবারো আমি কাজে বাঁধা প্রদান করলে তারা আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের মারপিটে আমি আহত হয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেই।
এদিকে ওই জমি জোড় করে দখলে নিয়ে ঘর বাড়ী নির্মাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিবাদীগণ। বিবাদীগণকে থানা পুলিশ বার বার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বললেও তারা কোন কর্ণপাত করছেন না। বর্তমানে জমি ক্রয় করে বাদি চরম বিপাকে পড়ছেন বলে জানানো হয়।
সমশের আলি গং এর হাত থেকে বাঁচতে জিয়া রহমান চলতি বছরের ৩০ মে আমলী আদালত নীলফামারীতে মামলা দায়ের করেন। যাহার নং - পি ৭৮/ ২০২২। বিবাদী সমশের আলির বিরুদ্ধে আদালতে ওয়াহেদ নামে আরও একজন মামলা করেন যার নং- ১২৪/ ২২। মামলা দুটি আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে সৈয়দপুর থানায় সমশের আলির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ করেছে জিয়া রহমান। অপরপাশে জমি বিক্রেতা ইউসুফ আলিও সৈয়দপুর থানায় সমশের আলির বিরুদ্ধে গত ৬ আগস্ট একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ক্রেতা জিয়া বলেন জমির মালিক ইউসুফ আলির কাছ থেকে ১৩ শতক বায়নামা জমির মধ্যে ৫ শতক ক্রয় করেন আফজাল হোসেন ও ৪ শতক ক্রয় করি আমি নিজে। বাকী ৪ শতক জমি জটিলতার কারণে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। তবে জটিলতা নিরসন হলে পরে তা ক্রয় করে নেবেন বলে জানানো হয়।