চীনের হুমকির প্রেক্ষিতে বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবার মেয়াদ চার মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করল তাইওয়ান। অর্থাৎ, তাইওয়ানিজ সকল প্রাপ্ত বয়স্ক যুবদের অন্তত এক বছরের জন্য সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে হবে। তবে এই নিয়ম চালু হবে ২০২৪ সাল থেকে। গত সোমবার তাইওয়ানের দিকে ৭১টি যুদ্ধবিমান এবং ৭টি রণতরী পাঠিয়েছে চীন। এর একদিন পরই মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাইওয়ানিজ সরকার। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন জানিয়েছেন, ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মানো সকল তাইওয়াননিজ যুবকেই সামরিক পরিষেবা দিতে হবে। তিনি বলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের হুমকি ক্রমে অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে। কেউ যুদ্ধ চায় না। কিন্তু দেশের শান্তি আকাশ থেকে পড়ে না। শুধুমাত্র তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। আসুন আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করার সাহস ও সংকল্প দেখাই। সাই জানিয়েছেন, এক বছর সেনা বাহিনীতে থাকাকালীন সৈন্যদের গুলি চালানোর অনুশীলন, মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত যুদ্ধের নির্দেশনা এবং স্টিংগার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র সহ আরও শক্তিশালী অস্ত্র পরিচালনা সহ আরও তীব্র প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের আক্রমণের কোনো প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে নিয়মিত বাহিনীকে আরও দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম করে মূল অবকাঠামো রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হবে। তাইপেই-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, ন্যাশনাল পলিসি ফাউন্ডেশনের গবেষক চিহ চুং অনুমান করেছেন, এই পদক্ষেপের ফলে ২০২৭ এবং তার পরেও বর্তমান ১ লাখ ৬৫ হাজার-শক্তিশালী পেশাদার সেনার সাথে বার্ষিক অতিরিক্ত ৬০ থেকে ৭০ হাজার জনবল যোগ করতে পারে। সূত্র: রয়টাস