নীলফামারীর ডিমলায় গয়াবাড়ী ইউনিয়নের মধ্য গয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির মোট পরিমান ৫৬ শতাংশ তবে মূলভবন ও শৌচাগারসহ শহীদ মিনার ৬ শতাংশ জমিতে নির্মিত হলেও হদিস মিলছে না বাকি ৫০ শতাংশ জমির। বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে নেই কোন পদক্ষেপ প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমানের।
তিনি জানান ৩০ শতাংশ জায়গা এক ব্যক্তির দখলে রয়েছে বাকি ২০ শতক জায়গার কোন তথ্যই তার জানানেই। বিদ্যালয়ের নামে জমি রেজিষ্ট্রি হয়েছে প্রায় ৪৯ বছর আগে। বিদ্যালয়ের স্থাপনা ছাড়া জমির কোন হদিস না থাকার কারণে মসজিদ মাঠকে স্কুলের খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছি। সেজন্য অবশিষ্ট পঞ্চাশ শতক জমি উদ্ধারে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ১৯৮১ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিদ্যালয়টি সরকারীকরনে রেজিস্ট্রেশন না থাকায় তখন তা আর সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয় স্থাপনের উপযুক্ত পরিবেশ ও জায়গা সঙ্কট দেখা দিলে। মসজিদ মাঠ সংলগ্ন গোলাম মোস্তফার নিকট হতে ছয় শতাংশ জমি তৎকালীন সময়ে কর্মরত শিক্ষকদের নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যালয়ের নামে ক্রয় করা হয়েছিল। অন্যত্র বিদ্যালয়টির ৫০ শতাংশ জায়গা থাকলেও সেখানে বিদ্যালয় স্থাপন না করায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য মসজিদ মাঠকে বিদ্যালয়ের নিজস্ব (৫৬ শতক) সম্পত্তি উল্লেখ করে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। প্রতিমাসে সে আলোকেই ধারাবাহিকভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। ১৯৭৪ইং সালে বিদ্যালয়ের নামে ৫০ শতক জায়গা দান করেন মোঃ মজিবর রহমান ও মোঃ দৌলত কাজী। জমি দাতার মৃত্যু হলেও তার সন্তানেরা বিদ্যালয়ে দানকৃত বেদখল জমি উদ্ধার করতে আগ্রহী হলেও প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছে না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছেনা।
বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে অন্যান্য সহকারী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ যথা সময়ে বিদ্যালয়ে অন উপস্থিত থাকেন।
ওই বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল আলম জানান, সকাল দশটায় পরীক্ষা তাই সময় মত সকলকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতেই হবে। স্কুলের জায়গার বিষয়ে জমি কি পরিমান আছে দলিল দেখতে হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, পরীক্ষা চলুক আর নাই চলুক নয়টায় শিক্ষকদের আসতে হবে। প্রধান শিক্ষক দুই মাস পর অবসরে যাবে কিনা সেটি বড়কথা নয়। তার দায়িত্বে অবহেলার কোন সুযোগ নেই। কেউ এই দায়িত্বে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।