বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের অশোকসেন গ্রামে থেকে বৃহস্পতিবার সকালে গৃহবধু গলায় রশিদেয়া ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার। গৃহবধুর পিতার বাড়ির অভিযোগ যৌতুকের জন্য নির্যাতন সহ্যয় করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও মামলাসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের অশোকসেন গ্রামের মধুসুদন হালদারের ছেলে সুব্রত হালদার এর সাথে একই উপজেলার বারপাইকা গ্রামের শ্যামল মন্ডলের মেয়ে সুবর্ণা হালদারের সাথে দুই বছর পূর্বে সমাজিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চার মাসের একটি কন্যাসন্তা জন্মহয়।
শ্যামল মন্ডল জানায়, আমার মেয়ে সুবর্ণা হালদারের বিয়েরপর থেকে যৌতুকের জন্য মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো সুব্রত হালদার। বুধবার রাতে যৌতুক শারীরিক নির্যাতন করে। নির্যাতন সইতে না পেরে ওই রাতেই বাড়ির পাশে গাছের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের এসাই আলী হোসেন গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে সুব্রত হালদার।
এব্যাপারে থানার ওসি (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম সাংবাদিকরে জানান, সুবর্ণার পিতার শ্যামল মন্ডল বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করেছে। মামলার পরে সুব্রত হালদারকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল আদালতে হাজির করা হলে আদালতের নিরদের্শে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।