পাবনার সাঁথিয়ায় চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারসহ চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
রোববার (১লা জানুয়ারী) সাঁথিয়া থানা চত্বরে এক প্রেসব্রিফিংএ ওসি (তদন্ত) কোমল কুমার দেবনাথ জানান,গত ২০ ডিসেম্বর/২২ ভোররাতে সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। চোরের দল গ্রীল ও তালা কেটে ১টি টিভি, পানির পাম্প, ৪ টা ১২ ভোল্টের ব্যাটারি, মাইক্রোল্যাব সাউন্ড সিস্টেম বক্স চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় গত ২২ ডিসেম্বর মামলা হয়। এ ছাড়া গত ৩০ ডিসেম্বর/২২ইং তারিখ রাতে থানার সামনেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক সহকারি পরিচালক ডাঃ মনসুরুল ইসলামের বাসায় একই কায়দায় চুরি সংঘটিত হয়। চোরের দল গ্রীল কেটে এলইডি রঙ্গিন টিভিসহ অন্যান্য জিনিসিপত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরই পাবনা জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সির সার্বিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম ও কল্লোল কুমার দত্ত’র তত্ত্বাবধানে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইয়ামিন ও একরামুলসহ সংগীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর/২২ বেড়া উপজেলার স্যানালপাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আশিক(২৩)কে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে করমজা(সরদারপাড়া) গ্রামের আফসার মোল্লার ছেলে হারুনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারসহ বেড়া উপজেলার জোড়দহ (বাঙ্গাবাড়িয়া) গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে জুয়েল আহম্মেদ(৪০)ও তলট গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান আলীকে(৪৫) গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, চোরদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২টি টিভি,২টি সাউন্ড সিস্টেম বক্স,২টি পানির পাম্প,১টি গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার(১ জানুয়ারী) পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।