রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কর্থিত হেলমেট বাহিনীর অগ্নিসংযোগ, ভোটদানে বাধা, হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ মামলা গুলোতে যুবলীগ নেতাকমীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। বাকিদের আটকের চেস্টা চলছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর উপজেলার শিলমাড়িয়া ও ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আর শেষ মুর্হুতে ভোটকে কেন্দ্রে কর্থিত হেলমেট বাহিনীর লোকজন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের একাধিক নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। ওই গ্রুপটি ভোটের দিন একাধিক কেন্দ্রের সামনে ককটেল নিক্ষেপ এবং ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতাসহ পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে পুলিশ ওই মামলাগুলোতে ৫ জনকে আটক করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার উপপরিদর্শক বলেন, নির্বাচন ঘিরে যত গুলো অঘটন ঘটেছে তার মুল নায়ক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামান। তিনি ক্ষমতাসিন দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের কোণঠাসা করতে কর্থিত হেলমেট বাহিনী দিয়ে এ সকল কর্মকা- ঘটিয়েছে। পরে ভোটের দিন বিকেলে তাদের লোকজন দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র গুলো শিবপুরহাট বিহারীপাড়া গণকবরস্থানে ফেলে রেখে যায়। আর এ সকল ঘটনায় পুলিশের তদন্তে ওই যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগিদের নাম উঠে এসেছে। তবে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামান বলেন, এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষ আমাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানোর চেস্টা করছে। এ সকল অপকর্মের সঙ্গে আমি জড়িত নেই। তবে ভোট কেমন হচ্ছে, তা আমি ভোটের দিন দেখতে গিয়ে ছিলাম। পরে লোকমুখে শুনেছি, আমার নামে নাকি থানায় নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচন ঘিরে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আর এ সকল ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ জন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেস্টা চলছে।