তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় জনজীবনে ছন্দ পতন ঘটেছে।
গত দুই দিনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় সাধারণ জনগণ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। চরম দূর্ভোগে পড়েছে দীনমজুর ও নি¤œ আয়ের মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে বোরো আবাদ। শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। আর শীতজনিত এ রোগে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
বুধবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত সূর্য়ের মুখ দেখা যায়নি। বিভিন্ন সড়কে হেড লাইড জ¦ালিয়ে পরিবহন চলতে দেখা গেছে।
উপজেলার কুরপালা গ্রামের হালিম শিকদার বলেন, ভ্যান চালিয়ে আমি আমার সংসার চালাই। গত দুই দিন ধরে প্রচন্ড শীত ও কুয়াশার কারণে ভ্যান চালাতে পারছিনা। এভাবে চলতে থাকলে আর দুই একদিন পরে আমার সংসার চালানো আর সম্ভব হবে না।
একই গ্রামের ফয়সাল হাওলাদার বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে গত দুই দিন ধরে জমিতে নামতে পারছিনা। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বারো আবাদ ব্যাহত হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায় বলেন, এভাবে শীত ও কুয়াশা পড়লে বীজ ধানের চারা এবং বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কোল্ড ইনজুরি থেকে বীজ তলাকে রক্ষা করতে হলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বীজ তলাতে পানি দিতে হবে। সকালে আবার এই পানি বীজ তলা থেকে বের করে দিয়ে সাথে সাথে বীজ ধানের চারা উপরে পড়া কুয়াশা ভেঙ্গে দিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার প্রভাস মন্ডল বলেন, আমাদের এই স্বাস্ব্য কেন্দ্রের আউটডোরে আমরা প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। এর মধ্যে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশী। এই রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, শীতে দরিদ্র মানুষেরা যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য আমরা শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। কোল্ড ইনজুরিতে ফসলের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য পদক্ষেপ নিতে উপজেলা কৃষি অফিসকে নির্দেশ দিয়েছি।