বাগেরহাট জেলার চিতলমারীতে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন সবুজের মাঝে হলুদ ফুলের সমারোহ। হলুদে হলুদে মোড়ানো সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে। প্রকৃতি সেজেছে তার আপন মহিমায়। মৌমাছির গুণগুণ শব্দে সরব হয়ে উঠেছে সরিষা ক্ষেত। বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হবে।
সরিষার তেলের রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। আর সরিষার খৈল জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং সরিষার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া জমিতে সরিষার আবাদ করলে ওই জমিতে সরিষার পাতা পড়ে জমির খাদ্য চাহিদা অনেকাংশে মিটিয়ে থাকে। সময় এবং খরচ কম হওয়ায় উপজেলায় জেলায় সরিষার চাষ বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। সরেজমিনে চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- চলতি রবি মৌসুমে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৭-৮ মণ সরিষা উৎপাদন হবে। পরান পুর গ্রামের ফারুক শেখ জানান গত বছরে তিনি আড়াই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেন। প্রতি বিঘায় তিনি ৭মন করে ফলন পেয়েছেন। প্রতিমন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দরে বাজারে বিক্রি করেছেন। অনুরুপ বক্তব্যদেন চাষী বাসির আলী।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায় চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়ে ছিলো ১৪২৬ বিঘা জমিতে। কিন্তু তা অতিক্রম করে আবাদের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৬০০ বিঘায়। উপজেলার মধুমতি নদের বেড়িবাঁধ বেষ্টিত এলাকার পরানপুর, হাড়িয়ার ঘোপ এবং ঘোলা গ্রামের মাঠ গুলোতে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সিফাত আল মারুফ বলেন, উঁচু জমি সরিষা চাষের জন্য উপযুক্ত। সামান্য পরিচর্যার মধ্যদিয়ে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে ও আর্থিক ভাবে লাভবান হতে সরিষার কোন বিকল্পনাই। আমরা প্রতিব্লকে কৃষকদের সাথে গ্রুপ মিটিংকরে সরিষা আবাদের পরামর্শ ও সরকারী বীজ প্রদানে চাষীদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।