চলছে পৌষ মাসের কনকনে ঠান্ডা। চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূলদের মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। উত্তরের কনকনে হিমেল বাতাস ও শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এ অঞ্চল। সকাল ১১ টার আগে সূর্যের দেখা যাচ্ছে না। হিমালয়ের বরফ গলা ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের দাপট কমেনি। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতে জুবুথুবু চলনবিলাঞ্চলের মানুষ। একটু উষ্ণতা খুঁজতে ছিন্নমূল ও দুস্থ পরিবারের লোকজন খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। উপজেলা শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় গড়ে ওঠা কাপড়ের মার্কেটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজন শীত বস্ত্র কিনছেন। বিত্তবানরা যাচ্ছেন বিপণী বিতান ও মার্কেটগুলোতে। এ ছাড়া উপজেলর বিভিন্ন হাট বাজারে গরম কাপড় বিক্রির ধুম লেগেছে। বৃহস্পতিবার রাতে চাটমোহর শাহী মসজিদ মোড়ে পুরাতন কাপড়ের দোকানে দেখা গেল ভিড়। অনেকেই গরম কাপড় কিনছেন। কাপড় কিনতে আসা কুমারগাড়ার মোতালেব হোসেনবলেন,আগের চেয়ে শীত বস্ত্রের দাম বেড়েছে। তাপরও শীত থেকে বাঁচতে ৬০০ টাকায় ৩টি শীতের কাপড় কিনেছি।
বিক্রেতা খলিল,ময়লালসহ অন্যরা বলেন,শীতে কাপড় বিক্রি চলছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে এসব ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসার স্বার্থে কম লাভে গরম কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত প্রায় হাজার কম্বল বিতরণ করেছে বলে জানা গেছে।