ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর স্বজনদের সাথে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্য মূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে নাহিদ হাসান নামে এক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রোগীর স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম তার এক বছরের শিশু সন্তান জিহাবকে নিয়ে হাসপাতালে যান। এ সময় সাইফুল ইসলামের সাথে তার বাবা স্কুল শিক্ষক আজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন। শিশুটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে দ্রুত ব্যবস্থা ও হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলেন। এরপর জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাহিদ হাসান তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন চিকিৎসক নাহিদ হাসান। এ সময় তাকে অন্য একটি কক্ষে সরিয়ে নেওয়া হয়। স্কুল শিক্ষক আজিবর রহমান জানান, তার নাতি ছেলে গত তিনদিন ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে খারাপ হওয়ায় তাকে শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাহিদ হাসানকে দ্রুত ভর্তি ও ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়। তিনি সে বিষয়ে কর্ণপাত না করে বসে ছিলেন। এ সময় চিকিৎসককে জানানো হয়, শিশুটি গত ৩ দিন ধরে ডায়ারিয়ায় আকাষ্ট্রন্ত অবস্থা বেশি ভালো না। চিকিৎসক তাদের এই কথার জবাবে বলেন, তিনদিন ধরে অসুস্থ তাহলে এখন হাসপাতালে এনেছেন কেন? বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তার ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই চিকিৎসক তার চেয়ার থেকে উঠে এসে মারতে উদ্যত হন। এ ব্যাপারে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাহিদ হাসান জানান, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল।কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় শনিবার সিভিল সার্জন অফিস থেকে একটি প্রতিনিধি দল আসবে। তাৎক্ষনিক ভাবে ওই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।