নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা বৈদ্যুতিক মিটার চোর চক্রের সাত সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে মাটির নীচে পুতে রাখা একটি চুরি যাওয়া মিটার ও চোরদের ব্যবহৃত ৬টি মোবাইলফোন সেট উদ্ধার করেছে। আটকরা হলো, নওগাঁ পৌরসভার আনন্দনগর পশ্চিমপাড়া মহল্লার মৃত আবদুল লতিফের ছেলে মাসুদ রানা (৩২), ইসলাম মন্ডলের ছেলে শহীদ মন্ডল (৩২), হাবিবুর রহমানের ছেলে হারুন অর রশিদ (২৫), কাদোয়া বটতলা পশ্চিমপাড়া মহল্লার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশিক হোসেন (২৩), রাজু সরদারের ছেলে রবিন সরদার (২৫), চকরামপুর মৃধ্যাপাড়া মহল্লার কিনা সরদারের ছেলে ইউনুস আলী (২৪) ও জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩০)। সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে মহাদেবপুর থানা পুলিশের দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের গুপিনাথপুর মোড়ে নেজামুল ইসলামের চাল কল থেকে একটি ও চাঁন্দাশ ইউনিয়নের হরিপুরে আবদুল কুদ্দুসের চাল কল থেকে একটি এবং ২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলা সদরের ঘোষপাড়ার মোড়ে নারায়ন চন্দ্রের লেদ মেশিনের দোকান থেকে একটি ও খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন বাজারের বিপুল চন্দ্রের লেদ মেশিনের দোকান থেকে একটিসহ মোট চারটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। চোরেরা একটি করে চিরকুটে মোবাইলফোন নম্বর লিখে মিটারের বাক্সগুলোতে রেখে যায়। নেজামুল ইসলাম এ ব্যাপারে ২৭ ডিসেম্বর মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ তদন্তে নামে। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ- অপস্) গাজিউর রহমান পিপিএম এর সার্বিক সহযোগীতায় মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি চৌকশ দল গঠন করে রাতেই নওগাঁ সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূল আসামি সদর উপজেলার চাকলা গ্রামের মৃত খয়রুল ইসলামের ছেলে নুর ইসলামকে (২৭) আটক করেন। পরে গত ৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে বাকি ৭ জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এসব মিটার চুরির কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে মাটির নীচে পুতে রাখা অবস্থায় আগে দুটি ও গতকাল একটি চোরাই মিটার উদ্ধার করা হয়। ভূক্তভোগীরা জানান, চোরেদের রেখে যাওয়া মোবাইলফোন নম্বরে কথা বললে তাদের কাছে মিটার ফেরৎ দেয়ার জন্য চাঁদা দাবি করা হয়। চোরেরা এদের একজনের কাছ থেকে বিকাশে তিন হাজার তিনশ’ টাকা ও আরেক জনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার দুশ’ টাকা হাতিয়ে নেয়।