চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭ পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পূর্ব মেখল আবদুল আলি সিকদারের বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে ৭ পরিবারের ২৫টি ঘর পুড়ে গেছে। বিদ্যূতের শর্ট সার্কেট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের পারিবারিক সূত্র গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন। সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী থেকে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্হানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী, অগ্নিদূর্গতদের পারিবারিক ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে দক্ষিণ পূর্ব মেখল ৪ নং ওয়ার্ডের আবদুল আলী সিকদারের বাড়িতে হঠাৎ অগ্নিকান্ডের সূত্র পাত হয়ে লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই বাড়ির জাকির হোসেন, মাওলানা ইকবাল, মোঃ মামুন, তৌহিদুল আলম, মোঃ শাহিন, ফয়েজুল্লাহ ও মোঃ মুছা মিয়ার বসতঘর, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাব পত্র, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ভোটার আই ডি কার্ড, ঘরের দলিল পত্র সহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকাণ্ডে ৫ টিন সেটের ঘর ও ২ টি সেমি পাকা ঘর আগুন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মেখল ৪ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য এনামুল তৈয়ব সবুজ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। একই ভাবে ইউ পি চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দীর চৌধুরী ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তিনি অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ওয়ার্ড মেম্বারকে ঘটনাস্হল পরিদর্শন জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে জানান।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের মিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ শাহজাহান জানান, সংবাদ অবহিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনা স্হলে গিয়ে প্রায় ঘন্টা খনেক প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ার তাদের আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সীমাহীন বেগ পেতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া ও ফায়ার সার্ভিস প্রায় বিশ লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার করেছেন বলে জানান। ভাগ্যভাল সেখানে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)মো.শাহিদুল আলম প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেখানে তদারকি করছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল ও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ঘটনাস্থলে যাবেন।