নোয়াখালীর সেনবাগে ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারীকে আবদুস সাত্তারকে মারধর শেষে দিগম্বর করে পানিতে নিক্ষেপ করেছে নিজ দলের কর্মীরা। ওই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্ররার সন্ধ্যা ৭টারদিকে সেনবাগ উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ছাতারপাইয়া বাজারে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
জানাগেছে,শুক্রবার বিকেলে ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুলহক মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আবদুস সাত্তারের সঞ্চালনায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন,স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোরশেদ আলম এমপি ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওযামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক।সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে প্রধান অতিথি দীর্ঘ ১৮ বছরের ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। দ্বিতীয় অধিবেশন সম্মেলন অনুষ্ঠানের ঘোষনা দিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যায়। এরপর মাগরিরে আযান দিলে নেতাকর্মীরা নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যায়।অতিথিরা দ্বিতীয় অধিবেশন না করে পরবর্তীতে কমিটি ঘোষনা করা হবে বলে সম্মেলন মুলতবি করে। এরপর ইঊনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সম্মেলন স্থলে থেকে বের হয়ে আসার সময় স্কুল মাঠে বিক্ষুব্দ একদল আওয়ামীলী ও ছাত্রলীগ কর্মী তাকে অতর্কিতে মারধর করে তাকে দিগম্ভর করে স্কুলের পুকুরে পেলে দেয়।
ওই ঘটনার জন্য আবদুস সাত্তার বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কাী নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদবন্দ্বিতা কারী ও আজ অনুষ্ঠেয় কাউন্সিলে সেক্রেটারী প্রার্থী সোহবার হোসেনকে দায়ী করেছেন।
এব্যাপারে সোহাবার হোসেন সুমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন দ্বিতীয় অধিবেশ মুরতবী করার পরপরই তিনি এমপি মহাদয়ের সঙ্গে সম্মেলন স্থল থেকে বের হয়ে বাড়িতে চলে যান।
তবে ঘটনাস্থরে থাকা স্থানীয় লোকজন জানায় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করার সময় দলীয় নেতাকমীদের বক্তব্যের সুযোগ না দেওয়া লোকজনের সঙ্গে অসৌজন্য মূলক আচরণ করায় ওই ঘটনাটি ঘটেছে।
এঘটনার তথ্য জানার জন্য সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম ও সাধারন সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল কলা হলেও কেউ ফোন রিসিভি করেনী।
এব্যাপারে যোগযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ওই ঘটনাটি ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেন।