বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে বরিশাল নগরীতে পঞ্চমবারের মতো আয়োজন করা তিন দিনব্যাপী পৌষ মেলা রোববার (২২ জানুয়ারি) রাতে শেষ হবে।
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ বরিশালের আয়োজনে জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল এ- কলেজ প্রাঙ্গণে মেলার মাঠের চারপাশে হরেক রকম পিঠার দোকানে নকশী পিঠা, পাকান, রসালো রোল, পাটিসাপটা, মালপোয়াসহ নানা নামের পিঠার পসরা সাজানো হয়েছে। যা দেখেই মনে হয় নগরজীবনে গ্রামীণ সভ্যতার স্বাদ পাইয়ে দেয়ার এক ভিন্নধর্মী আয়োজন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, মেলায় ২২টি স্টল দিয়ে মেলা প্রাঙ্গনকে সাজানো হয়েছে। যেখানে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগতরা পিঠার দোকান সাজিয়েছেন। আঞ্চলিক ঐতিহ্যের সাথে সেসব দোকানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন নামের পিঠা। এছাড়াও মেলায় চটপটি-ফুচকাসহ মুখরোচক খাবারের দোকান এবং মাটির তৈজসপত্র, গহনা, শাড়ি ও শিশুদের খেলনার দোকানসহ শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে বাংলার সংস্কৃতির সাথে মিশে থাকা নাগরদোলা।
বিগত সময়ের ধারা অব্যাহত রেখে এমন আয়োজন করতে পেরে খুশি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ বরিশাল শাখার নেতৃবৃন্দরা। আর শহরে পরিবেশের মাঝে এমন একটি মেলার আয়োজনে খুশি নগরবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনদিন ব্যাপী মেলার উদ্বোধণকালে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ
বলেন, তরুন প্রজন্মের মাঝে এমন আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ বরিশালের সভাপতি কাজল ঘোষের সভাপত্বিতে ও সাইফুর রহমান মিরনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক অ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল, শিশু সংগঠক পংকজ রায় চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুভঙ্কর চক্রবর্তী, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ বরিশাল শাখার সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দু শেখর সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পঞ্চমবারের মতো আয়োজন করা এ মেলা প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সবার জন্য উম্মুক্ত রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গনে থাকছে আলোচনা সভা, আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও নাটক মিলিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।