এক বছর বন্ধ থাকার পর আবারো আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। শনিবার (২১ জ্নাুয়ারি) রাতে ভারতীয় প্রায় এক হাজার টন (৯৫৯ টন) স্টিল বার নিয়ে ভারতীয় জাহাজ এমভি ভুলকার-১ আশুগঞ্জ বন্দরে নোঙড় করেছে। দেশীয় বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব পণ্য দুই এক দিনের মধ্যে সড়কপথে আখাউরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পৌঁছানো শুরু হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রম ও বাণিজ্য প্রটোকল চুক্তির আওতায় এসব পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারিতে ভারতীয় কয়লাবাহী জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আসে এবং আশুগঞ্জ আখাউরা সড়কপথে আখাউরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এসব পণ্য পরিবহন করা হয়। গত এক বছর আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। গত শনিবার সন্ধ্যায় টাটা কোম্পানির ৯৫৯ টন স্টিল বার নিয়ে ভারতীয় জাহাজ এমভি ভুলকার-১ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙড় করে। ভারতীয় টাটা কোম্পানির তৈরি ও ত্রিপুরা রাজ্যের এস এম কর্পোরেশনের এসব মালামাল আশুগঞ্জ থেকে দেশীয় ঠিকাদারি পরিবহন প্রতিষ্ঠান ইসলাম ব্রাদার্স এসব পণ্য সড়ক পথে ট্রাকে পরিবহন করবে। সরকারি আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বা আগামীকালকের মধ্যেই আশুগঞ্জ আখাউরা সড়ক পথে আখাউরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় পৌঁছানো শুরু হবে।
জাহাজের মাস্টার আমিন উদ্দিন শেখ জানায়, চলতি মাসের ৮ তারিখে জাহাজটি আশুগঞ্জ বন্দরের উদ্দ্যেশে কলকাতার হলদিয়া বন্দর ত্যাগ করে এবং শনিবার রাতে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে পৌঁছে।
এদিকে গত ১৭ জানুয়ারি জাহাজটি মংলা বন্দরে পৌঁছলে মালামাল পরিবহনকারি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম জাহাজটিতে উঠে। তিনি জানান, সরকারি আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বা আগামীকালকের মধ্যে মালামাল পরিবহন শুরু হবে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উপণ্ডপরিচালক রেজাউল করিম জানান, নৌবন্দরে জাহাজ অবস্থানকালীন সময়ে দৈনিক ৩১৫ টাকা হারে বার্দিং চার্জ ও টনপ্রতি ৩৪ টাকা হারে ল্যান্ডিং এ- শিপিং চার্জ, ১০ টাকা হারে তদারকি চার্জ প্রদান করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত কোনো চার্জ প্রদান করা হবে কি না তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ।