মুজিববর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অসচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে আবাসন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রথম পর্যায়ে নির্মিত নয়টি দৃষ্টিনন্দন ‘বীর নিবাস’। ইতোমধ্যে পার্বতীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রথম পর্যায় নয় ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কাঠা জমির ওপর নির্মিত প্রতিটি ভবনের আকার ২২ ফুট প্রস্থ আর ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই ঘরটিতে দুটি বেডরুম, একটি ড্রইং রুম, একটি ডাইনিং রুম, একটি কিচেন রুম ও দুটি বাথরুমসহ থাকছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন ও পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইসমাঈলের তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মাহমাদুল হাসান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মো: শফিউল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার সহায়তায় বাড়িগুলোর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পার্বতীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: রিয়াজ মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীরমুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মান দিয়েছেন। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা শেষ বয়সে এসে তাদের মাথা গোঁজার ঠাই পাবেন। মুক্তিযুদ্ধে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকার যে ঘরগুলো দিচ্ছে তা অবশ্যই ভালো কাজ। শেষ বয়সে বীরমুক্তিযোদ্ধারা পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়ার বীর নিবাস নিয়ে কথা হয় উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের খোড়াখাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আজির উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, উপহার পেয়ে আমি খুব খুশি। এখন আল্লাহ অনেক সুখে রেখেছেন। এর চেয়ে চাওয়ার আর কিছু নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি ও ধন্যবাদ জানাই।
পার্বতীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো: শফিউল ইসলাম বলেন, প্রথম পর্যায় ৯টি বীর নিবাসের কাজ শেষ হয়েছে। ডিজাইন মোতাবেক জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিদের্শনায় অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এই বীর নিবাসগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ঘরের নির্মাণকাজ শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
বীর নিবাস নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বলছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে এসব ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা ঘরগুলোর নির্মাণকাজ শেষ করছেন।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া দৃষ্টিনন্দন নয়টি বীর নিবাস এর প্রথম পর্যায়ে কাজ সমাপ্ত হয়েছে। তাছাড়া নতুন করে আরও ৬৮ বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।