সড়কের পিচ, খোয়া উঠে গেছে। সড়ক জুড়ে গর্ত আর গর্ত। গর্তে রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানের চাকা পড়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে সড়কগুলো দিয়ে পথচারীদের যাতায়াত কষ্ট আরো বেড়ে যায়।চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারের সড়কগুলোর এমন করুণ অবস্থা বিরাজ। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার পথচারী ও বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী এবং অটোবাইক, সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী সাধারণ।দীর্ঘদিন ধরে সড়কগুলোর সংস্কার না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পৌরবাসী।
জানা যায়,প্রাচীন চাঁদপুর পৌর এলাকার ৫টি ওয়ার্ড পুরাণবাজারে অবস্থিত। দেশের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়িক এলাকাও এখানে।হাইমচর উপজেলায় যেতে হলে পুরাণবাজার হয়েই যেতে হয়। সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর,লক্ষ্মীপুর,হানারচর,চান্দ্রা,বালিয়া,বাগাদী ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। ফরিদগঞ্জে এমনকি চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌ রুটের চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটে যাবার রাস্তাও পুরাণবাজার দিয়ে যাবার রাস্তা।
কিন্তু এ এলাকার পৌরসভার প্রতিটি রাস্তারই এখন বেহাল দশা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নিতাইগঞ্জ, মেরকাটিজরোড,রয়েজ রোড,আমজাদ আলী সড়ক,লোহারপুল,জাফরাবাদ,পালপাড়া,দাসপাড়া,পূর্বশ্রীরামদী,জুটমিল সড়ক,রঘুনাথ পুর সড়ক,দোকানঘর রাস্তার খুবই খারাপ অবস্থা।
এ রাস্তাগুলোর ইট পাথর,পিচঢালাই উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে পরিণত হয়েছে। রাস্তাগুলো ভেঙে গর্ত হওয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
টিনপট্টির ব্যবসায়ী ও সানরাইজ অয়েল মিলের ব্যবস্থাপক মোঃ জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন,আমাদের গ্রামের বাড়ি পূর্ব রামদাসদী দাইমখা বাড়ি।একদুই সপ্তাহ পর পর শহর থেকে বাড়ি যাওয়ার সময়
‘রাস্তাগুলোর এমন ভগ্নদশা দেখলে মনে হয় না, এটা পৌর শহরের কোনো রাস্তা। যানবাহনে চড়ার সময় ঝাঁকুনিতে সুস্থ্য মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোন রোগী নিয়ে এ পথে যাওয়ার সময় তার পরিণতি আরো করুণ।শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের এমন বেহালদশা, অথচ কর্তৃপক্ষের সেটিকে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।’
দোকানঘরের রিকশাচালক সফু মিয়া (৪৫) বলেন, রাস্তার গর্তে রিকশার চাকা পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও পরিবহন শ্রমিকেরা বলেন, পাইকারি ব্যবসায়িক এলাকা হওয়ায় এবং অনেক মিল কারখানা থাকায়
সড়কগুলো দিয়ে দোকানীরা তাদের মালামাল কিনতে বাজার এলাকায় দিয়ে মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা উপজেলায় বাস, ট্রাক পিকআপ,কভার্ডভ্যান,অটোবাইক,রিকসা,সিএনজিসহ ভারী যানবাহন চলাচল করে। পিচ-খোয়া উঠে যাওয়ায় গর্তে গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে।
অটোচালক মোশারফের বাড়ি মধ্যশ্রীরামদী। অটো চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, গ্রামের কিংবা চরের রাস্তাও এ থেকে অনেক ভালো রাস্তা, কিন্তু পুরাণবাজারের ভাঙ্গা রাস্তা গুলো দেখে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম সামসুদোহা বলেন,চাঁদপুর পৌর এলাকার সবগুলো রাস্তারই নতুন করে কাজ করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো আগে সংস্কার বা মেরামত করা হচ্ছে। পুরাণবাজারের রাস্তাগুলোরও কাজ হবে।
তিনি জানান,রাস্তার কাজের জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প দেয়া আছে। ফান্ড পেলে এ সমস্যা থাকবে না।