মেহেরপুরে সূর্যমূখি চাষে সাফল্যের আশা জাগাচ্ছে কৃষকদের। বীজের ও তৈলের চাহিদা মেটানোর জন্য সূর্যমুখীর চাষ করেছেন তারা। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় ভাল ফলনের প্রত্যাশ করছেন চাষীদের। এদিকে সূর্যমুখি ফুলে সব বয়সী মানুষের নজর কেড়েছে। আর সেই দৃষ্টিকাড়া ফুলের মধ্যে কেউ সেলফি, কেউ স্বজন নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছবি তুলতে ভিড় করছে।
চলতি বছর মেহেরপুর জেলায় ২শতাধিক বিঘা জমিতে সূর্যমূখীর চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় ভাল ফলনের প্রত্যাশ করছে চাষীরা। বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ করে ৩০-৩৫ হাজার টাকা ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা করছে কৃষক। বীজবপণের মাত্র ১শ’ দিনের মধ্যে বীজ ও তেল পাওয়া সম্ভব। দূর্যোগ সহনীয় হওয়ায় বারি ৩ জাতের সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রাহী উঠছে এ অঞ্চলের কৃষকরা।
সূর্যমুখীর তেল পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ হওয়ায় এ অঞ্চলে এ তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া সূর্যমুখী ফুলের তেল অত্যান্ত পুষ্টিকর। সর্যমূখি তৈলবীজ থেকে তেল নিস্কাসন করে নেবার পর এর থেকে খৈল তৈরী হয়। যা পশুর উৎকৃষ্ট খাবার হওয়ায় এরও ব্যাপক চাহীদা রয়েছে। গাছগুলোও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বহু বছর পূর্বে এ অঞ্চলে সূর্যমূখীর চাষ হতো। সে সময় কৃষি বিভাগের উদাসিনতা বীজ সল্পতা ভালো বাজার দর না থাকা সহ বিভিন্ন কারণে সূর্যমূখীর চাষ বন্ধ করে দেয় কৃষকরা। বর্তমানে বীজ ও তৈলের চাহিদা থাকার কারণে আবার নতুন করে সূর্যমূখীর চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। এদিকে সূর্যমুখী ফুলেফুলে ভরে গেছে মাঠ। সূর্যমুখি ফুলে সব বয়সী মানুষের নজর কেড়েছে। আর সেই দৃষ্টিকাড়া ফুলের মধ্যে কেউ সেলফি, কেউ স্বজন নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছবি তুলতে ভিড় করছে।
মুজিবনগরের ভবেরপাড়ার সাহিদুল ইসলাম বলেন,সুন্দর একটি সূর্যমূখী ফুলের বাগান হয়েছে এমনটি শুনতে পেয়ে দেখতে এসেছি। ভালোই লাগছে।
জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম বলেন,সূর্যমুখি ফুল দেখে আনন্দ উপভোগ করে। আগামীতে অনেকেই এ চাষ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গাংনী সিয়াম বলেন, আব্বু আম্মুর সাথে ঘুরতে এসেছি অনেক ভালো লাগছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, সূর্যমুখি চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সারবীজ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।