চাচাতো ভাই ও সৎভাইদের জমি দখলসহ ও অন্যান্য অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে সাংবাদিক সম্মেলন করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিংঝাড় গ্রামের ভুক্তভোগী একটি পরিবার। রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মিজানুর রহমান। এ সময় কুড়িগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাটের দক্ষিণ শিংঝাড় গ্রামো জয়েন উদ্দিনের দুই স্ত্রী ছিল। প্রথম পক্ষের ৭ ছেলে ৪ মেয়ে, দ্বিতীয় পক্ষের ২ ছেলে ৪ মেয়ে। তার জীবদ্দশায় সকল সন্তানকে রেজিস্ট্রিমূলে জমিজমা বন্টন করে দেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ২০০৯ সালে ১ম স্ত্রীর তাদের পৈত্রিক জমি জোর করে সৎভাই সফি উদ্দিনগং ১ বিঘা জমি দখল করে। এ নিয়ে তারা স্থানীয় শালিসের রায় অনুযায়ী দখল ছেড়ে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর আবার ৩ বিঘা জমি দখল করে। পরে এনিয়ে উভয়পক্ষ আদালতে মামলা করলে রায় আসে আমাদের পক্ষে। আদালতের রায় পাওয়ার পর কিছুদিন তারা জমি ভোগদখল করতে পারে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে সফি উদ্দিন গং ৩য় দফায় তাদের ৩ বিঘা জমি দখল করে। আবারও তারা অত্যাচারের শিকার হন। এরপর তৎকালীন পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে আবার জমির জবরদখল ছেড়ে দেয় সফি উদ্দিন গং। এরপর ২০২০ সালে আবার ৪র্থবার আবার দখল করে। এসয় সুযোগ সন্ধানী চাচাতো ভাই আবদুস সামাদ এগিয়ে এসে জমির দখল পাইয়ে দেবার বিনিময়ে ৩২শতাংশ জমি অথবা ৫লক্ষ টাকা দাবী করে। তার দাবী পূরণ না করায় সে দখলকারী সফিউদ্দিন গং এর সাথে যোগ দিয়ে সেই ৩ বিঘা জমিতে দখল নিশ্চিত করে। এভাবে বারবার জমি দখল, শালিস বৈঠক ও মামলা মোকদ্দমার কারণে তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অন্যদিকে প্রায় রাতে বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিসোটা প্রদর্শন, প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরণের নির্যাতন ও অত্যাচার করে তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বর্তমানে জমিজমা আবাদ করতে না পেরে তারা অর্থাভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে করুণ অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। এমতাবস্থায় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে চাচাতো ভাই আবদুস সামাদ ও সৎভাই সফি উদ্দিনগং এর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে সহযোগিতা চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন পবিারের সদস্যরা। দ্রুত এর সমাধান না হলে একপর্যায়ে পরিবারের সবাই নিয়ে একসাথে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।