মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সি (বীর প্রতীক-বার)তিনি চির বিদায় নিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সি তিনি (বীর প্রতীক) একই পদক দুইবার পেয়েছিলেন বলে তাকে (বীর প্রতীক-বার) উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। তিনি রোববার দিবাগত রাত ৯টায় অসুস্থতা বোধ করলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে সে রাত ১০টায় হৃদযন্ত্রে ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তার ৩ ছেলে ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশাদ আলী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সি (বীর প্রতীক বার) তিনি জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাবাজ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি শেরপুর জেলার শ্রীবরদী পৌর শহরের খামারীয়া পাড়ায় বসবাস করতেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সি (বীর প্রতীক-বার) তিনি ১৯৭১ এর ৮ ডিসেম্বর বিকালে নিজের জীবন বাজি রেখে মিত্রবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার এর আত্মসমর্পণের চিঠি নিয়ে বাই-সাইকেলে যোগে সাদা পতাকা উড়িয়ে জামালপুরের রওনা হন। পিটিআই ক্যাম্পে যাওয়ার পথে পাকিস্থানি সেনারা তাঁকে আটক করে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় অধিনায়কের কাছে। চিঠি বহনের অপরাধে তাঁর ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। পাকিস্থানীদের এসএমজির বাঁটের আঘাতে মুন্সীর চারটি দাঁত ভেঙে যায়। পরবতি পাকিস্থনি অধিনায়ক ভারতীয় ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ারের চিঠির জবাব লিখে সেই চিঠি মুন্সীকে দিয়ে ফেরত পাঠায়। ওই দিন গভীর রাতে মিত্রবাহিনী জামালপুরের পিটিআই পাকিস্থানি সেনা ক্যাম্পে একের পর এক আঘাত হানতে থাকে। অবশেষে ১০ডিসেম্বর জামালপুর শতুমুক্ত হলে জহুরুল হক মুন্সি জয় বা লা শ্লোলোগান দিয়ে মুখোরিত করে তোলেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাস্কতি স গঠন নেতবন্দসহ বিভিন্ন শেনীপেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ যে বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী বীর (প্রতীক বার) যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মামলার অন্যতম স্বাক্ষীও ছিলেন।