মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মনিরের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত ওই ইউপি সদস্য আদালতে জুড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক হারিস মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। তিনি সাপ্তাহিক মানব ঠিকানা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও পাতাকুঁড়ির দেশ পত্রিকার জুড়ী উপজেলা প্রতিনিধি। গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মানব ঠিকানা, পাতাকুঁড়ির দেশসহ বিভিন্ন পত্রিকায় “জুড়ীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জের ধরেই ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মনির ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারী) মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলি আদালতে সাংবাদিক হারিস মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়েরে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সোচ্চার হয়ে উঠেছেন সাংবাদিক সমাজসহ সচেতন মহল। তাঁরা দ্রুত এই মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ অভিযোগের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জুড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও “দৈনিক মানবজমিন” পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি তানজির আহমদ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক, “দৈনিক ভোরের কাগজ” প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সুমন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি জুড়ী উপজেলা ইউনিটের সভাপতি, “দৈনিক নয়াদিগন্ত” পত্রিকার প্রতিনিধি এ.বি.এম নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও “হাকালুকি নিউজ” সম্পাদক এম এম সামছুল ইসলাম সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারী দুপুর ১২ টায় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মনির একই গ্রামের মৃত মনাফ মিয়ার পুত্র দুদুল (২৫) সহ কয়েকজন মিলে একই গ্রামের মৃত হারিছ আলীর পুত্র আবদুল মান্নানের বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে বাড়ীর পাশের জমি দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় আবদুল মন্নানের পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা প্রদান করলে তাদেরকে মারধর করা হয়। এতে আবদুল মন্নান (৪৫) ও তার স্ত্রী ছইফা বেগম (৩৭) আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আবদুল মন্নান জুড়ী থানায় বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে জুড়ী থানার পুলিশ এস আই বাদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জাকির হোসেন মনিরের বড়ভাই মকদ্দছ আলী জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন জাকির হোসেন মনির আমাকে প্রধান আসামি করে এবং আমার ছেলে লোকমান হোসেন, ইকবাল হোসেন, সুলতান মিয়া ও মেয়ে আয়েশা বেগমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। তার অন্য আরো এক ভাই আরজমন্দ আলীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি আরেকটি মামলা দায়ের করলে তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন। আরো অনেকেই তার মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। জানা যায়, ইউপি সদস্য মনির এক যুবতীকে শ্লীলতাহানির দায়ে প্রায় ৯ মাস মৌলভীবাজার কারাগারে হাজত বাস করে।