বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় ফিলিপনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াডের প্রত্যন্ত বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে সাধুরা গাঁজা খাচ্ছে এবং ঐ ইউনিয়নের নিরীহ অনেক পরিবাররের উঠতি বয়সী ছেলেকে গাঁজা খেতে উৎসাহিত করছে। এ তথ্যের সত্যতা জানতে অতি গোপনে ঘটনাস্থলে পৌছালে দেখা যায় জুলমত হোসেন নামে একজন সাধু এ কর্মকান্ডের মুল হোতা হিসেবে কাজ করছে। তবে, আরও জানা যায ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামের রুস্তম ফকির বাঁশ বাগানের আড়ালে মাকদদ্রব্য গ্রহনের জন্য প্রধান প্রচারনা কারী হিসেবে কাজ করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, দ্বাদশ শ্রেনীর একজন ছাত্র সে এসেছেন মাদক গ্রহন করতে। এখানের আসার জন্য, বসার জন্য, খাওয়ার জন্য সাধু জুলমত হোসেন প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। এভাবে একটি প্রজন্মকে মাদকে উৎসাহিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিছু ভক্ত সাধু সাহায্য করছেন। স্থানীয়ভাবে জানা যায় আরও করুন ইতিহাস। সাধুদের সাধু সক্সেঘর নামে মাদকের ব্যবহার অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। সন্ধ্যার সময় উঠতি বয়সী ছেলে মেয়ে পড়াশোনায় না বসে সাধু সংঘের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অনেক পরিবারের মেয়ের বিয়ের পরপরই পরই যখন জানতে পারছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাদকাসক্ত রয়েছে তখনি বিপর্যয় নেমে আসছে। সকলের মাঝে মাদকের কুফল প্রচার করার পাশাপাশি তাদের কে সতর্ক করা হয়। সাধু সংঘের নামে মাদকের ব্যবহার নিশ্চিত যে সমাজ বাস্তবতায় কুড়ে কুড়ে একটি প্রজন্মকে ধব্বংসের অতলে নিতে পারে। আসুন, আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কে বাচাঁই, সুস্থ প্রজন্মকে বাধাহীনভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করি। মাদক নয়, খেলার মাঠে ও পুস্তক পাঠে মনোনিবেশে সহায়তা করি। বেড়ে উঠুক আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার স্মাট প্রজন্ম।সাথে সাথে সাধুসঙ্গ হোক সকল প্রকার মাদক মুক্ত। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, স্পটে মাদকের কুফলের বিষয়টি প্রচারের পর পিএম কলেজের একজন ছাত্র (সংগত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সকলের সামনে চিরদিনের জন্য মাদক থেকে ফেরত আসার জন্য প্রতিশ্রুতি দেন। তার কোন সাহায্যের প্রয়োজন কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল। আসলে মাদকের কুফলের বিষয়টি এভাবে জানা ছিল না। তাছাড়া, কেউ এভাবে অবহিত করেনি। মাদকের কারণে আমার এই বয়সে শরীরে নানা বিধ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সকলের সামনে চিরদিনের জন্য এ অন্ধকার জগত থেকে ফেরত আসায় স্থানীয় অনেক ব্যক্তি সহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানানো হয়। অচিরেই দৌলতপুরের মাদক নিয়ন্ত্রণে সকল সাধুদের নিয়ে সাধুসমাবেশ/মতবিনিময় করা হবে।