জোটে যদি মোটে একটি পয়সা,খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি, দুটি যদি জোটে অর্ধেক তার ফুল কিনিও হে অনুরাগী।’ ফুল নিয়ে মহানবী (সা.)-এর একটি বিখ্যাত হাদিসের এমন কাব্যরূপ দিয়েছেন কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। ভালোবাসা, পবিত্রতা ও সৌন্দয্যের প্রতীক ফুল। খুব সুন্দর আবহাওয়া। চারপাশে নানা রঙের, নানা বর্ণের অপূর্ব প্রকৃতির হ্নদয় কেড়ে নেওয়া রূপ স্বচ্ছ নীল আকাশ। মন ভরে দেখেতে শুধু মন ছুঁয়ে যায় প্রকৃতির সাথে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। দুটি বিশেষ দিন সামনে রেখে বাহারি ফুলের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দুদিনে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি করবেন এমনটাই আশা করছেন। অনেক ব্যবসায়ী ফুলে ক্যাপ পরিয়ে রেখেছেন। বিক্রির ২/৩ দিন আগে ক্যাপ খুলে তা বিক্রি করবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের বিভিন্ন বাজার, সড়কের মোড় আবাসিক এলাকায় টাটকা ফুল নিয়ে বসেছেন মৌসুমী ফুল ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে রাণীশংকৈলে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সারা বছর টুকটাক করে ফুলের ব্যবসা চললেও ব্যবসা জমজমাট হয়ে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে। সব মিলিয়ে দেখা গেছে পাইকার, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ফুল নিয়ে বাড়তি আয়ের জন্য ব্যস্ত রয়েছেন। কয়েক বছর আগেও ফুলের এমন কদর ছিল না। সময় পল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন সর্বত্রই ফুলের কদর বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা লাল গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, কসমস, ডালিয়া, টিউলিপ, কালো গোলাপ, ঝুমকা লতা,চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ফুলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ছাড়াও সামনে রয়েছে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। এই ৩টি দিবসকে সামনে রেখে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফুল ব্যবসায়ী ফজলে রাব্বী রনি জানায়- এবার বসন্তের প্রথম দিনই ভালোবাসা দিবস এ কারণে ফুলের চাহিদা বেশি। বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে প্রতিটি গোলাপ মানভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হবে।