ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে আদালতের রায় উপেক্ষা করে পৈতৃক জমি জবরখল ও ঘর নির্মাণে বাধার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হরিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হরিপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কারিগাও গ্রামের মৃত এলাহী বকস এর দুই পুত্র গফুর সরকার ও জফুর সরকার। এলাহী বকস এর মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া তার সম্পত্তি দুই পুত্র সমানভাবে রেখে যাওয়া ভোগ দখল করতে থাকে।
গফুর সরকার ও জফুর সরকার মৃত্যুর পর জফুর সরকারের ছেলে রফিক সরকার এককভাবে তার চাচার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া হরিপুর মৌজার ১৫৩ নং খতিয়ানের ও ৮১৯ নং দাগের ৩৪ শতক জমি এককভাবে বিক্রি করে দেয়। পরে গফুর সরকারের ওয়ারিশ মোস্তফা গং ২০০৮ইং সালে বিজ্ঞ আদালতে একটি বন্টননামা (বাটুয়ারা) মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে ২০১৯ইং সালে প্রাথমিক ও ২০২০ সালে বাদী পক্ষে চুড়ান্ত রায় দেয়। আদালতের রায় অনুযায়ী বাদীপক্ষ মোস্তফা গংরা তাদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে বিবাদী পক্ষ তাদের বাধা প্রদান করে। এর কিছুদিন পরে বাদীপক্ষ মোস্তফা গং নিজ দখলে থাকা জমিতে ইট দিয়ে ঘর নির্মাণ করতে গেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কারিগাও গ্রামের মৃত বাচা মোহাম্মদ এর ছেলে গুলজার গংরা তাদের জমি দাবী করে ধাড়ালো দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, দা ও লাঠি নিয়ে বাদীপক্ষের দিকে ধাওয়া করলে দেশিয় অস্ত্রের ভয়ে প্রাণে বাচতে বাদী পক্ষ পালিয়ে আসে। পরে বিবাদী গুলজার গংগেরা বাদী পক্ষের ঘর নির্মাণের ১ হাজার ইট চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
বাদী মোস্তফা বলেন, আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও বিবাদী গুলজার গংয়ের অস্ত্রের ভয়ে আমরা আমাদের জমিতে যেতে পারছি না এবং নিজ দখলে থাকা জমিতেও ঘর নির্মাণ করতে পারছি না। নিরুপায় হয়ে সোমবার হরিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ঘটনা সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।