সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়-য়া স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী চেষ্টার অভিযোগে লুৎফর রহমান নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে শ্যামনগর থানা পুলিশ ভুক্তোভোগী ছাত্রীর পিতা নাজমুস শাহাদাৎ পলাশের দায়েরকৃত মামলায় নিজ বাড়ি হতে তাকে গ্রেপ্তার করে। উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের লুৎফর রহমান কল্যানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি পাশর্^বর্তী কাঁচড়াহটি গ্রামের ব্যবসায়ী নাজমুস শাহাদাৎ এর বাড়িতে যেয়ে তার মেয়েকে পাঠদানের সময় এমন কান্ড ঘটায় বলে অভিযোগ।
মামলার বিবরণ সুত্রে জানা যায় সোমবার সন্ধ্যায় পাঠদানের একপর্যায়ে গৃহশিক্ষক লুৎফর রহমান তার ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর আচারণ শুরু করেন। এ সময় নকিপুর পাইলট বালিকা বিদালয়ের ঐ ছাত্রী দৌড়ে পড়ার কক্ষ থেকে বের হয়ে যেয়ে মায়ের কাছে শিক্ষকের আচারণের কথা জানায়। একপর্যায়ে গৃহশিক্ষক লুৎফর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও রাতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী জেবুন্নাহার পারভীন জানান ব্যবসায়ী নাজমুস শাহাদাতের কাছে তার স্বামীর পাঁচ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। দীর্ঘদিনেও টাকা পরিশোধ না করায় সম্প্রতি তারা মামলার প্রস্তুতি নেন। এসব ঘটনার জেরে তার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে বলেও তার দাবি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল জানায় স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানী চেষ্টার ঘটনায় তার পিতা সোমবার রাতে মামলা (যার নং ১৩)করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।