পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে অধিকাংশ খাদ্যদ্রব্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। এর মধ্যে চালের দাম আরও বেশি। হাট-বাজারে অতি নিম্নমানের চালের দামও প্রতি কেজি ৫০টাকা। এমতাবস্থায় সুজানগর পৌরসভার অধিকাংশ দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের পক্ষে চাল কেনা খুবই কষ্টকর। তবে পৌরসভায় খোলা বাজারে বিক্রি করা ওএমএস’র চাল ওই সকল দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের ক্ষুদা নির্বারণে বেশ ভূমিকা রাখছে।
উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৪জন ওএমএস’র ডিলারের অনুকূলে সপ্তাহে ৬দিন ৬টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই সকল চালের দাম প্রতি কেজি ৩০টাকা। সরকারি নিয়ম মেনে পৌর সভার ১২‘শ জন দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষ প্রতিদিন ৫কেজি করে চাল ক্রয় করেন। পৌরসভার ওএমএস’র চালভোগী আকমল হোসেন বলেন সরকারিভাবে কম দামে খোলা বাজারে বিক্রি করা ওএমএস’র চাল আমাদের মতো গরীব মানুষের ক্ষুদা নিবারণে অত্যন্ত সহায়তা করছে। অন্যথায় আমাদের পক্ষে হাট-বাজার থেকে চড়া দামে চাল কিনে দুবেলা দু’মুঠো ভাত খাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে যেতো। সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র এলাকার ডিলার আবদুস সালাম বলেন সপ্তাহে ৬দিন আমার কেন্দ্রের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয় দেড় টন চাল। কিন্তু বরাদ্দের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন সরকারি সিদ্ধান্তমতে বরাদ্দ বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। বরাদ্দকৃত ওই চাল নিয়ম মেনে বিক্রি করতে হবে।