রুপসি বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের বাড়ি দখলদারদের উচ্ছেদ করার দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সৈয়দ মেহেদি হাসান নামের এক কবি। শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এখানে একাত্মতা প্রকাশ করে জীবনান্দ প্রেমী এবং সংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। কবি সৈয়দ মেহেদি হাসান বলেন, ১৯৪৮ সালে স্বপরিবারে কবি জীবনানন্দ দাশ বরিশাল থেকে চলে যান। ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত বরিশাল নগরীর জীবনানন্দ দাশ সড়কে ধানসিঁড়ি নামক বাড়িতে তাদের স্বজনরা ছিলেন। তারা একজন তত্ত্বাবধায়ক রেখে গেলে তিনি কৌশলে বাড়িটি নিলামে উঠিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন।
কবি মেহেদি হাসান দাবি করে বলেন, বরিশালকে জীবনানন্দ দাশের শহর বলা হলেও এখানে তার বাড়ি বলতে এখন কিছুই নেই। তাই বরিশালে জীবনানন্দ দাশের রেখে যাওয়া জমিতে জীবনানন্দ গবেষনা কেন্দ্র স্থাপন, জীবনানন্দ মিলনায়তন ব্যবহার উপযোগী করা, পাঠাগার নিয়মিত চালু করা, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অপসারণ করা, জীবনানন্দ দাশের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে আবহমান বাংলার পরিবেশ উদ্যান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নগরীর জীবনানন্দ দাশ সড়কে (বগুরা রোডে) প্রায় পাঁচ একর সম্পত্তি রেখে যান। ৪৮ সালে দেশ ভাগের পর কবি জীবনানন্দ দাশ বরিশাল থেকে চলে যান। তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে বর্তমানে মালিকানা ভবন, বিসিসির পানির ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে জীবনানন্দের কোন স্মৃতিচিহ্ন নেই। তাই কবির রেখে যাওয়া জমি, তার বাড়ি পুনরুদ্ধারের জন্য জোর দাবি করা হয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচীতে এতাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, কবি হেনরী স্বপন, নাট্যকার অনন্ত হীরা, সংস্কৃতিজন দীপংকর চক্রবর্তী, সংস্কৃতি সংগঠক আজমল হোসেন লাবু, চঞ্চল কর্মকার, মানিক মিয়া মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক পিযুষ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।