কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া জননি নার্সিং হোমে ডাক্তার এম এ জামানের পরামর্শে ভর্তি হয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন সাথী নামে এক নারী,সংবাদ সম্মেলন এমনটি দাবী তার। সাথী কৈপাল গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। শুক্রবার সকাল ১১ টার সময় দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাথী বলেন,প্রায় ১ বছর আগে আমার পেটে ব্যথা হয়। আমি চিকিৎসার জন্য তারাগুনিয়া বাজারে ছয় তলা বিল্ডিং এ অবস্থিত আল্লার দান সনো এ- ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায়। সেখানে ডাক্তার তাসনিম সুলতানা কে দেখালে তিনি পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে বলেন আমার অভারিতে সিস্ট হয়েছে। সে আরও বেশি সিওর হওয়ার জন্য আমাকে কুষ্টিয়া সনো সেন্টারে পাঠায় সেখানেও আমার সিস্ট ধরা পড়ে।পরে আল্লাহর দান সনো এ- ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১১/০৬/ ২০২২ ইংরেজি তারিখে আসলে ডাক্তার এম এ জামান আমাকে আবার সনো করে এবং সিস্ট আছে উল্লেখ করে তাড়াতাড়ি জননি নার্সিং হোমে ভর্তির পরামর্শ দেন। তার কথা মত ১১/০৬/২০২২ ইংরেজি তারিখে জননী নার্সিং হোমে ভর্তি হলে ডাক্তার এম এ জামান আমার অপারেশন করে। এবং অপারেশন টেবিলে আমাকে রেখে আমার পরিবারের কাছে থেকে ১৩ হাজার টাকা নিয়ে নেই। অপারেশন করার আগে যেমন পেটে যন্ত্রণা ছিলো অপারেশন করার পরেও ঠিক তেমন যন্ত্রণা থাকার কারণে প্রায় ১ মাস পরে ডাক্তার এম এ জামানের কাছে গেলে তিনি বিভিন্ন রকম যুক্তি দিয়ে ঘুরাইতে থাকে। পরে অপারেশন করার ছয় মাস অতিবাহিত হলেও যন্ত্রণা না কমায় তিনি আবার আমাকে ০২/১২/২০২২ ইংরেজি তারিখে সনো করান এবং বলেন আমার পেটে ইনফেকশন হয়েছে। ইনফেকশন হয়েছে বলে ১ মাসের ওষুধ দেন তিনি। ১ মাস ওষুধ খাওয়া হলেও যন্ত্রণা না কমলে আমি আমার বাবার সহযোগিতায় ৮/২/২০২৩ ইংরেজি তারিখে রাজশাহী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ডাক্তার নিশাত আনাম বর্ণা কে দেখালে তিনি সনো করে সিস্ট আছে বলে উল্লেখ করে।আমি তো সিস্ট অপারেশন করলাম ৬ মাস ডাক্তার এম এ জামান আমাকে হয়রানি করে ঘোরালো এবং ভুল চিকিৎসা দিলো এই ঘটনার তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। এ বিষয়ে ডাক্তার এম এ জামান বলেন আমি নিয়ম মেনে অপারেশন করেছি। তবে নতুন করে আবার সিস্ট হতে পারে। এ সময় দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের একাধিক সাংবাদিক ও সাথীর পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।