দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া পূর্বপাড়া নিবাসী মৃত শেখ জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্র শেখ আজমিরের স্ত্রী সুমাইয়ার মৃত্যু রহস্যজনক। জনমনে জিজ্ঞাসা সুমািয়ার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা না হত্যা? দিঘলিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ৬ টার দিকে দেয়ারা পূর্ব পাড়া নিবাসী মৃত শেখ জাহাঙ্গীর হোসেনের ছোট ছেলে আজমীরের স্ত্রী সুমাইয়া (২১) ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বলে সুমাইয়ার স্বজনরা জানায়। উল্লেখ্য মৃত সুমাইয়া খুলনা নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের দেয়ানা নিবাসী জাহিদ শেখের বড় মেয়ে। ৪ মাস আগে দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া পূর্ব পাড়া নিবাসী মৃত শেখ জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্র শেখ আজমীর হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে তাদের মধ্যে নানা বিষয়ে মনমালিন্য দেখা দেয়। ঘটনার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। সকালে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবী স্বামী আজমীর এ সময় ঘরে ছিলনা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজমীর এলাকার একটা উচ্ছৃঙ্খল যুবক। দিঘলিয়াসহ খুলনার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। সে বর্তমানে নানা নেশা দ্রব্য আমদানি ও কেনাবেচার সিন্ডকেটের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগও আছে।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার জানান, মৃত সুমাইয়ার স্বজনেরা খুলনা জেলা প্রশাসকের নিকট গিয়েছে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুমতির জন্য। তারা অনুমতি আনতে ব্যর্থ হলে আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠাবো। এলাকাবাসী ও দিঘলিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত সুমাইয়ার লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি না মেলায় সুমাইয়ার লাশ অবশেষে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুমাইয়ার লাশ উদ্ধারের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া প্যাডে লেখা চির কুটে উল্লেখ করা হয়েছে, ' আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।' সেখানে তার স্বামীর উদ্দেশ্যে লিখেছেন, আমি তোমার যোগ্য স্ত্রী হতে পারলাম না।'
স্বামী ও তার পরিবারের দাবী চিরকুটটা মৃত সুমাইয়ার। স্বামী আজমীর সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুম পান করতে বাগানে যায়। এ ফাঁকে তার স্ত্রী সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছে। এলাকাবাসী বলছে সুমাইয়ার মৃত্যু রহস্যজনক।