মুখের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে বিরল ইতিহাস গড়েছে বাঙালি। প্রাণের ভাষা বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে গড়ে ওঠা দুর্বার আন্দোলনে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত, রফিক প্রমুখের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। যার ফলে বাংলা ভাষা পায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা।
তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে ৯ মাস পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ফলে সারাবিশ্বে মহান এই দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আজ (২১শে ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে শহীদদের অনুসরণে এসব কথা বলেন- রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দিক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বার্নাবাস হাসদাক ও ডাক্তার মিজানুর রহমান।
পরে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্মৃতির মিনারে পৃথকভাবে শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান- তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রামিল হাসান সুইট ও সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার যুবলীগ নেতা আবদুল আলিম প্রমুখ।
এরআগে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’ গান গেয়ে শহীদদের স্মরণ করে সম্মান জানানো হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্মৃতির মিনারে পৃথকভাবে শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।