নীলফামারীর সৈয়দপুরে সুইডেন প্রবাসী এক লেখক,সাংবাদিক ও সাহিত্যিককে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি শহরের ড্রিম প্লাস কনভেনশন হলে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
শহীদ ডাক্তার এম এ আজিজ নয়া মিয়ার সুযোগ্য সন্তান সুইডেন প্রবাসী বিশিষ্ট সাহিত্যিক,সাংবাদিক ও লেখক দেলোয়ার হোসেন বাবলুকে দেয়া হয় ওই সংবর্ধনা। সৈয়দপুর প্রজন্ম ৭১, সৈয়দপুর রক্তধারা ৭১,ও সৈয়দপুরবাসীর পক্ষ থেকে শহীদের সন্তানরা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ পরিবারের সন্তান মহসিনুল হক মহসিন লেখকের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় বক্তব্য দেন প্রজন্ম ৭১,শহীদ সন্তান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোনায়মুল হক। শহীদ পরিবারের সন্তান ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন খোকন। পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, শহীদ পরিবারের সন্তান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদসহ অনেকে। ৭১-এ সন্তানহারা এক মায়ের আত্মহুতি মোর নয়া মিয়া আর ফিরি আসপে না বইটি সুইডেন প্রবাসী বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও লেখক দেলোয়ার হোসেনের। এ বইটি সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে সৈয়দপুরের প্রেক্ষাপট নিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন, পতাকা নকশার প্রেক্ষাপট,স্বাধীনতা পক্ষের বন্ধু ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শত্রু তাদের নিয়ে বইটিতে অনেক ইতিহাস লেখা আছে। শহীদ ডা, এম এ আজিজ সরকার ওরফে নয়া মিয়ার ওপর নেমে আসে শত্রু পক্ষের পৈশাচিক আঘাত,১৯৭১সালের ২৭ মার্চ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা গেটের সামনে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয় ইঞ্জিন বয়লারে। লাশ না পাওয়ার কারণে সন্তানের ফিরে আসার অপেক্ষায় তার মা স্বাধীনতার ১০টি বছর সন্তানের ফিরে আসার অপেক্ষায় পথের প্রান্তে চেয়েছিলেন। তারপর বুঝেছেন যে তার ছেলে আর ফিরে আসবে না। আশা নিয়ে বেঁচে থাকাটাই অর্থহীন এ নিয়েই দুর্ভাগ্য মা ও ছেলের এই গল্প। যার সাথে রয়েছে চার হাজারেরও অধিক নাম না জানা লাশের অলৌকিক ছায়া। এ বইটিতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্থানীয় শহীদদের নৃশংস হত্যাকা-ের ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বইটি আগামী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের বর্বর হত্যাকান্ডের ইতিহাস পরিস্ফুটিত করে তুলেছে।