নাটোরের বড়াইগ্রামে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ প্রাণী প্রদর্শনী মেলার মূল আকর্ষণ ছিল মরুভূমির প্রাণী সুদানি জাতের দুম্বা। মেলায় ৪০টি স্টলে প্রদর্শন করা হয় বিভিন্ন প্রকার পশু-পাখি।
অনুষ্ঠানে ইউএনও মোসা: মারিয়াম খাতুনের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মিয়াজী, যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, ওসি আবু সিদ্দিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খুরশীদ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মমিন আলী ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমির হামজা ও সফল খামারী নীলুফার ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন।
প্রদর্শনীতে দুম্বা দুটি নিয়ে এসেছিলেন উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের খামারী মুক্তার আলী। প্রদর্শনীতে মূল আকর্ষণ ছিল মরুভূমির প্রাণী এই দুম্বা। দুম্বা দুটিকে দেখতে স্টলে ভিড় জমান মেলায় আগতরা। এ ছাড়া গাড়ল ও তিতিরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দর্শকদের নজর কাড়ে।
প্রদর্শনীর ৪০টি স্টলে প্রদর্শিত হয় খামারি ও চাষিদের আকর্ষণীয় গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, গাড়ল, তিতির, খরগোশ, কাকাতুয়া, হাঁস ও আমেরিকান সিল্কী ও কাদাগনাথসহ বিভিন্ন প্রজাতির মুরগি, কবুতর, খরগোশসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। প্রদর্শন করা হয় বিভিন্ন ভেটেরিনারি কোম্পানির ওষুধ, পশু-পাখি পালনের বিভিন্ন সরঞ্জাম।
মেলার শেষ পর্বে তিনটি ক্যাটাগরিতে সেরা মোট নয়জন খামারিকে পুরস্কৃত করা হয়।
খামারি মুক্তার আলী বলেন, তার খামারে বর্তমানে পাঁচটি বাচ্চাসহ মোট পঁচিশটি দুম্বা আছে। এক সপ্তাহ আগে আরো ১২টি দুম্বা চট্টগ্রামের একজন সংসদ সদস্য কিনে নিয়েছেন বলে তিনি জানান। এ ছাড়া তার খামারে তুর্কি (বায়ার) জাতের বড় পাঠা, তোতা, হরিয়ানা, বারোবারি, গোলাপী ও বিটলসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় চার শতাধিক ছাগল ও গাড়ল রয়েছে। তিনি এসব প্রাণী তার খামারে লালন পালন করেন। সরকারের মন্ত্রী-এমপি, অভিনেতার পাশাপাশি রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার খামারি ও শৌখিন ব্যক্তিরা তার কাছ থেকে এসব প্রাণী কিনে নিয়ে যান বলে তিনি জানান।
একেকটি বড় আকারের দুম্বা দুই-সোয়া দুই লাখ টাকা এবং একেকটি বাচ্চা এক থেকে সোয়া লাখ টাকা দামে বিক্রি করেন বলে তিনি জানান।