বাগেরহাটের শরণখোলায় একসাথে তিন কন্যা শিশুর জন্ম দিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন দরিদ্র ময়না বেগম (৩৫)। স্বামী পরিত্যক্তা ময়না বেগমের দরিদ্র পরিবারে দুই ছেলে মেয়ে থাকতেও আবার তিন কন্যার জন্ম হওয়ায় চিন্তার ভাজ পড়েছে তার স্বজনদের মধ্যেও। সদ্য জন্ম নেয়া তিন শিশু কন্যা সুস্থ থাকলেও ওজন কিছুটা কম ইনফেকশনের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকালে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর ভোলারপাড় গ্রামের মৃত ছায়েদ তালুকদারের মেয়ে এবং মঠবাড়িয়ার জামাল হাওলাদারের স্ত্রী ময়না বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। রোববার সকাল ৯টায় হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিনি তিন কন্যা শিশুর জন্ম দেয়। বর্তমানে মা ও তিন কন্যা সুস্থ আছে। তবে শিশুদের ওজন কম থাকায় ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বেবি হোমে পাঠানোর চিন্তা করছেন চিকিৎসকরা। তিন শিশু কন্যার নানী পিয়ারা বেগম (৬৫) বলেন, আমি ভিক্ষা করে সংসার চালাই। মেয়ের গর্ভের বয়স যখন ৫ মাস তখন ওর জামাই চলে যায়। এরপর আর আসেনি। সেই থেকে আমি দুই নাতি ও অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে থেকেছি। কিন্তু এখন আবার একসাথে তিন কন্যা (নাতিœ) হয়েছে। তাই খুব চিন্তায় আছি কিভাবে ওদের বড় করবো। শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবিকা (নার্স) রাবেয়া আক্তার বলেন, শনিবার ময়না বেগমকে নিয়ে হাসপাালে আসে। এরপর আমরা পরিক্ষা নিরিক্ষা করে দেখি তিনটা বাচ্চা রয়েছে পেটে। তাই রোববার সকাল ৯টার দিকে নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করে তিনটি কন্যা শিশুকে প্রসব করাই। বর্তমানে মা ও তিন শিশু ভাল আছে। শরণখোলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে তিনটা বাচ্চা খুব ভাল ভাবে ডেলিভারি হয়েছে। কিন্তু ওদের ওজন কম তাই ইনফেকশনের ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য বেবি ইনকিউবেটরে পাঠানো হয়েছে।