শেরপুর জেলার জুয়েলারী ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন, ‘বাজুস’ শেরপুর জেলা শাখা ভেঙে গেছে। বাজুসের একটি অংশ নতুন সমিতি গঠন করেছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী মুন্সিবাজার রোডস্থ একটি জুয়েলারী কারখানায় আয়োজিত এ সভায় শেরপুর পৌর এলাকার ৪৩ জন জুয়েলারী ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। সভায় জুয়েলারী ব্যবসায়ীদের নতুন সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেন ‘বাজুস’ শেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি’র সদ্য সাবেক ১ নং সদস্য মুসলিম জুয়েলার্স এর কর্ণধার আবদুর রফিক মজিদ। তিনি জানায়, বর্তমান বাজুস শেরপুর জেলা শাখার কমিটি কেন্দ্রীয় নির্দেশ ও গঠনতন্ত্র অনুসারে গঠন করা হয়নি। এমনকি আহ্বায়ক কমিটি’র ৫ জন সদস্যের মধ্যে ২ জনকে না জানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিহীন, জেলা সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সদস্য না সংযুক্ত করেই শুধু মাত্র পৌর এলাকার কিছু সদস্যকে নিয়ে চাতুরী পূর্ণ উপায়ে প্রহসনের নির্বাচন দেখিয়ে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এর প্রতিবাদে ইতোমধ্যে ১৫ জন সদস্য ‘বাজুস’ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ সমস্ত অনিয়মতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রম রোধে সভায় শেরপুর জেলা জুয়েলারী সমিতি নামে নতুন সংগঠনের সর্বসম্মতি প্রস্তাব গঠন করা হয়। নতুন সংগঠনের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষে আগামী ৩ মাসের (৯০ দিন) জন্য একটি অস্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী ৩ মাসের মধ্যে সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যবসায়ী এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি-সম্পাদকদের সংগঠিত করে সদস্য সংগ্রহ করা হবে। পরবর্তিতে সকল সদস্যের উপস্থিতিতে সধারণ সভায় শেরপুর জেলা জুয়েলার্স সমিতি’র দুই বছর মেয়াদী পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
২১ সদস্যে নতুন অস্থায়ী কমিটি’র নেতৃবৃন্দরা হলেন সভাপতি সুশীল মালাকার, কার্য নির্বাহী সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া, সহ-সভাপতি অটলেশ মালাকার ও আলহাজ¦ খোরশেদ মোল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শামুদ্দিন আহমেদ সমেশ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রফিক মজিদ ও দেবানন্দ কর্মকার, কোষাধ্যক্ষ সাইদুর রহমান রাঙ্গা, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রদিপ কুমার সিংহ রায়। এ ছাড়া ১২ জন্য নির্বাহী সদস্যরা হলেন, মো. আফজল হোসেন, আনন্দ নন্দী, আবুল কালাম আজাদ, সোহাগ মিয়া, সুব্রত কর্মকার, মো. শাকের, মো মজিবর, সাইফুল ইসলাম, শহীদুর রহমান, আবদুল মোতালেব, মো. দুলাল উদ্দিন ও মো. সিনু মিয়া।