'কর্তব্যের তরে, করে গেলে যাঁরা, আত্মবলিদান-প্রতিক্ষণে স্মরি, রাখিব ধরি, তোমাদের সম্মান' এ প্রতিপাদ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় সাতক্ষীরায় ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালিত হয়েছে।
বুধবার (০১ মার্চ) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে গভীর শ্রদ্ধা ও অকৃত্রিম ভালোবাসায় কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মদানকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করে জেলা পুলিশ। এ উপলক্ষে জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকালে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স মাঠে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হায়। এতে নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ- অপস্) আতিকুল ইসলাম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, তালা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, ডিআইও ওয়ান চৌধুরী ইয়াছিন আলম খান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মোঃ ফখরুল আলম খান, জেলা ট্রাফিক বিভাগের টিআই অ্যাডমিন শ্যামল চৌধুরী, জেলা পুলিশের আর ও ওয়ান লিটন বিশ্বাসসহ অনেকেই। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে পুলিশ সুপার এবং উপস্থিত সকলে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভের কাছে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন। পরে শহিদ পুলিশ সদস্যদের আত্মার শান্তি কমনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে জেলা পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিবছর বহু সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিহত হন। তাদের স্মৃতির প্রতি ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর মার্চ মাসের ১ তারিখে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেরও প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার। এ সময় পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত দশজন পুলিশ সদস্যের পরিবারের হাতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও উপহার তুলে দেন।