গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ভাতিজার বিরুদ্ধে। নিহত সাজ্জাদ হোসেন সাজু (৩৮) ওই গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের পুত্র। সে ৬ সন্তানের জনক। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের দস্যুনারায়ণপুর গ্রামে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত নাঈম (১৭) নিহতের বড় ভাই ইসমাইলের পুত্র।
নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাজুর সাথে তারই বড় ভাই ইসমাইলের দীর্ঘদিন ধরে মাতৃক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। নিহতের বাবা সিরাজউদ্দিন মৃত্যুর আগে ৩ শতাংশ জমি তার মা ছালেহা বেগমকে (৭০) রেজিঃস্ট্রেশন করে দিয়েছিলেন। তার বাবার মৃত্যুর পর বড় ছেলে ইব্রাহিম ও ছোট ছেলে সাজু মায়ের দেখবাল করলেও মেজো ছেলে ইসমাইল কোন খোঁজখবর রাখেনা। এ কারণে মা ছালেহা বেগম তার বড় ছেলে ইব্রাহিম ও ছোট ছেলে সাজুকে স্বামীর দেয়া তিন শতাংশ জমি সমান ভাগে রেজিঃস্ট্রেশন করে দেয়। সকালে মায়ের দেওয়া ওই ফসলি জমিতে মাটি ভরাটকে কেন্দ্র করে বড় ভাই ইসমাইল, ভাবি কোহিনুর ও ভাতিজা নাইমের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে নাইম তার চাচা সাজুকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় নিহতের সন্তানদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর জখম সাজুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, শাশুড়ির দেওয়া জমিতে চাষ করতে গেলে ভাসুর ইসমাইল ও তার ছেলে নাঈম, জা কোহিনুর আমাদের খুন করে ফেলবে বলে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিল। আজ তার বাস্তব প্রমাণ হলো।
এ বিষয়ে নিহতের মা ছালেহা বেগম বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর আগে তিন শতাংশ জমি রেজিঃস্ট্রি করে দিয়েছিলেন আমাকে। সেই জমি বড় ছেলে ইব্রাহিম ও ছোট ছেলে সাজুকে রেজিঃস্ট্রি করে দিয়েছি কারণ তারা আমাকে খাওন, কাপড় ও টাকাণ্ডপয়সা দেয়। কিন্তু মেজো পোলায় কিছু দেয়না এইজন্য তাদের জমি দেই নাই। নাতি নাইম আমার পোলারে মাইরালাইছে। আমি তার বিচার চাই।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।