খুলনার পাইকগাছায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে রোগীসহ এলাবাসী। ধুলাবালিতে নাকাল হাসপাতালে সেবা নিতে আসা সহ স্থানীয় মানুষ। কমপ্লেক্সের সামনে এ ব্যস্ততম জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে শুধু রোগী নয় উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন। স্থানীয় সহ শত শত রোগীর যাতায়াত করতে হয় এই সড়ক দিয়ে। পাইকগাছা পৌরসভার জিরোপয়েন্ট ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কালিবাড়ি হয়ে হাসপাতালের এই সড়কটি কয়েক বছর ভেঙে যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসীন্দা ও হাসপাতালে রোগী আনা-নেয়ার প্রধান সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সড়কটি সংস্কারের পরিবর্তে বর্তমানে রোগী সহ স্থানীয়রা পূর্ব অবস্থা থেকেও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই মাস আগে কালিবাড়ি থেকে হাসপাতালে হয়ে ওয়াপদা পর্যন্ত সড়কটি খুঁড়ে আবার সেই ব্যবহৃত পুরানো ইট খোয়া বানিয়ে শুধুমাত্র দু'পাশে হেজিং করে ফেলে রেখেছে। ফলে রাস্তা সংলগ্ন দু'পাশের অসংখ্য বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত লাল ধুলাবালিতে ঢেকে যাচ্ছে। বসতবাড়ি ও দোকানের মালামাল পরিস্কার করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন তারা। খাবারের দোকানের অনেক খাবার ইটের গুড়ার লাল ধুলায় নষ্ট হচ্ছে। ধুলার কারণে মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে আরো রোগী হয়ে যাচ্ছে। রাস্তা সংলগ্ন ওষুধের দোকানদার নুরুল ইসলাম এফএনএসকে বলেন, প্রায় দুই মাস রাস্তাটি খুঁড়ে পুরানো ইট ভেঙে রেখে দিয়ে রাস্তার দু'পাশের হেজিং দিয়েই লাপাত্তা হয়েছে ঠিকাদারের লোকজন। সেই থেকে রাস্তার দু'পাশের বসতবাড়ি ও দোকানে বসে বেচাকেনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ধুলায় সবকিছু লাল হয়ে যাচ্ছে। আমরা মারাত্মক অসহ্য যন্ত্রণায় পড়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান খান এফএনএসকে বলেন, বাসস্ট্যান্ড কালিবাড়ি মোড় হতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে প্রায় ওয়াপদা পর্যন্ত ৪৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারের কাজের জন্য গত বছর ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, সাতক্ষীরা জেলার পলাশপোল এলাকার মেসার্স জেএন্ডজে ইন্টারন্যাশনাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করা হয়েছিল গত বছর ৯ অক্টোবর এবং সিডিউল অনুযায়ী সংস্কার কাজ শেষ করার কথা ছিল চলতি বছর ৬ জানুয়ারি। কিছু দিন কাজ করে চলে গেছে আর আসছে না। চিঠি দেওয়া হয়েছে, ফোন দিচ্ছি ফোন ধরছে না।