মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদীতে চাঁদা না দেওয়ায় ব্রিজের মালামাল লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতির সাধিত হয়েছে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামলাদী গ্রাম সংলগ্ন স্কয়ার কোম্পানির সামনে জামালদী-হোসেন্দী সড়কে ঝরাজীর্ণ স্টীল নির্মিত বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে সেখানে ৪কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ মিটার প্রন্থ বিশিষ্ট একটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সম্প্রতি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর জান্নাত কন্সট্রাকশন লিমিটেড। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বিদ্যমান পুরাতন বেইলি ব্রিজটি ভাঙার কাজ করছিল তারা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় প্রভাবশালী রিপন, আমিরুল ইসলাম এবং বাচ্চু মিয়া নেতৃত্বে ১৫/২০জন সন্ত্রাসী পুরাতন ব্রিজে থেকে খুলে রাখা স্টিলের পাত, অ্যাঙ্গেল এবং চ্যানেল নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে তুলতে থাকে। এ সময় সাইটের কিছু কর্মচারী তাদের বাধা দিলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।
বিষয়টি সম্পর্কে ঠিকাদার কামরুল হাসান রাসেল বলেন, ব্রিজের কাজটি পাওয়ার পরে স্থানীয় কিছু লোক তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। গতকাল রাতে তার সাইট থেকে কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার সময়ে সাইটে কিছু শ্রমিক ছিল যারা পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে রেখেছে। এই ঘটনার পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় স্টিলের পাতগুলো নাকি একটি কোম্পানির পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছিল সেজন্য তারা নিয়ে গেছেন। তবে বিষয়টি সত্যি নয় এ ব্যাপারে তিনি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বিষয়টি সম্পর্কে এলজিইডির গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ জানান, নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য বিদ্যমান পুরাতন স্টিল নির্মিত বেইলি ব্রিজটি ভেঙ্গে মালামাল আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। আমরা শুনতে পেলাম ব্রিজটি ভাঙার পরে কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে কতিপয় দুর্বৃত্ত। এখানে সরকারের কোন ক্ষতি হবে না কারণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক জরিমানা আদায় করা হবে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলীর কাছে জানতে চাওয়া তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।