মেহেরপুরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে স্বাবলম্বি হয়েছে কয়েক হাজার বেকার শিক্ষিত নারী। প্রশিক্ষন নিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে নিজের ভাগ্য বদলিয়ে এখন অন্যের ভাগ্য বদলাতে পাশে দাঁড়িয়েছেন সফল নারী উদ্যোক্তারা। আজকের নারীরা পিছিয়ে নেই কোনো অংশে। পুরুষের পাশাপাশি আজ তারাও ধরছে সংসারের হাল। আজ তারা হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী।
এক সময় মেহেরপুর অঞ্চলের নারীরা ছিল নানা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। কুটক্তি আর লোকলজ্জার ভয়ে তেমন একটা ঘরের বাইরে বেরোতে চাইতো না তারা। একারনে অনেক নারীকে জীবন-জগতের জ্ঞানের আলো স্পর্শ করেনি। মেহেরপুর গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বিউটিফিকেশন, দর্জি,ফ্যাশান ডিজাইনার ও বুটিক প্রশিক্ষন নিয়ে সেই সব নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেছে। প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্বাবলম্বয়ী হয়ে জেগে উঠে স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখছেন তারা।
অনেক শিক্ষত ও বিধবা নারী ঘরে বসে না থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ক্ষমতায়নের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এজন্য তারা ঋণও পাঁচ্ছে সরকারি ও বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে। ফলে তাদের জীবন পাল্টে যাচ্ছে। পাল্টে যাওয়ায় তারা আজ সমাজে অবহেলিত নয়। সমাজকে তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রভান্বিত করছে। তবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষনে প্রসার ঘটাতে পারলে এই অঞ্চলের নারীরা আরো কাজের সুযোগ পাবে।
প্রশিক্ষনার্থী ডলিয়ারা ও শারমিন খাতুন জানান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে দর্জি ও ফ্যাশান ডিজাইনার কাজ শিখে এখন স্বাবলম্বী হয়েছি। ফ্যাশান ডিজাইনারের কাজ করে আয় হচ্ছে তা দিয়ে সংসার ভালো চলছে। এ ছাড়া পাশের নারীরা আমার দেখে উৎসাহিত হচ্ছে। বিধবা,স্বামী পরিত্যাক্তা ও শিক্ষিত নারীরা প্রশিক্ষন নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রশিক্ষক নারগিস সুলতানা নির্জনা বলেন,নারীর উন্নয়নের পাশপাশি পুরুষের রোজগারের সাথে নারীর রোজগার যোগ হয়ে সংসারে সচ্ছলতার ফিরে এসেছে। এসব প্রকল্পের ফলে নারীরা উদ্যোগত্যা হচ্ছে। প্রশিক্ষন নিয়ে বিউটি পাল্লার করেছেন। নারীরা প্রশিক্ষন নিয়ে এগিয়ে আসলে তারাও স্বাবলম্বী হতে পারবে।
প্রশিক্ষক তালিমুণ নেছা বলেন, সমাজে যারা অসহায় সুবিধা বঞ্চিত বা বিধবা তালাকপ্রাপ্ত এসব মেয়েরা এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক স্বাবলম্বী হয়েছে। অঅমরা চাই সকলে প্রশিক্ষন নিয়ে স্বাবলম্বী হোক।
আমি চাই সমাজের যারা খাই বা আসুক মেয়েরা শিক্ষিত মানুষ এখানে প্রশিক্ষণ নেই
বিউটিশিয়ান আয়না খাতুন বলেন,প্রশিক্ষন নেওয়ার ফলে সরকার কিছু টাকা দিয়েছে আর তার নিজের কিছু জমানো টাকা দিয়ে বিউটি পাল্লার গড়ে আয় করছেন। সাথে কয়েকজন নারীরও কর্মস্থান তৈরি করেছেন।
শিল্পি খাতুন বলেন, আমি খোঁজ খবর নিতে এসেছি। সুযোগ দিলে প্রশিক্ষন নিয়ে সমাজে অবদান রাখবো।
গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকতার্ মোছা : নাসিমা খাতুন বলেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রশিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য সরকার ভালো একউ প্রকল্প চালু করেছে।