নওগাঁর মান্দায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে নিষ্পত্তির বৈঠকে হাতাহাতির ঘটনার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের খয়বর হোসেন বাবু (৪৫) ও একই গ্রামের আবদুল খালেক (৫২)। মামলাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে কালিকাপুর গ্রামে জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য আবুল হাশেম, স্থানীয় মমতাজ হোসেন, মছির উদ্দিন, আবদুল গফুর, আঁখি বেগম প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কালিকাপুর গ্রামের আমির হোসেন আমুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি আয়েজ উদ্দিনের বিরোধ চলছিল। বিরোধটি নিষ্পত্তির জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আমির হোসেনের খলিয়ানে সালিসের আয়োজন করা হয়। সালিসে কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল ওহায়েদ ও আবুল হাশেমসহ এলাকার মাতবরেরা উপস্থিত ছিলেন। সালিস চলাকালে বিকেলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিত-ার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আমির হোসেন ও আয়েজ উদ্দিন আহত হন। তাঁদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আয়েজ উদ্দিনের ছেলে বাবু সরদার বাদি হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেন। অন্যদিকে নওগাঁ আদালতে আরেকটি মামলা করেন প্রতিপক্ষের আমির হোসেন। আদালতের এ মামলায় খয়বর হোসেন বাবু ও আবদুল খালেককে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু আয়েজ উদ্দিনের মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হাশেম বলেন, সালিসের শেষ পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের দুজন হাসপাতালে ভর্তি হন। বিষয়টি যাতে মামলা পর্যন্ত না গড়ায় সেই চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। ইউপি সদস্য আবুল হাশেম আরও বলেন, পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তারা ওইদিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। মামলায় তাদের নাম জড়ানো সঠিক হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মোমিন বলেন, আদালতের মামলায় খয়বর ও খালেককে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।