ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ট্রেনে কেটে নিহত হয়েছে মানিক মিয়া (৪৫) নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক। শনিবার বেলা ১১টার দিকে সুন্দরপুর স্টেশনের অদুরে খুলনা থেকে ঢাকাগামি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়। নিহত মানিক বগুড়া সদর উপজেলার জগদাঁড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। সে শুক্রবার শশুর বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের চাঁদবা গ্রামে শশুরালয় মৃত আকবার ধনীর বাড়িতে বেড়াতে আসে।
আমিরুল ইসলাম জানান, চাঁদবা গ্রামের মৃত আকবার ধনীর মেয়ে রোমেনা বেগম (৪৮) এর সাথে গত তিন মাস আগে বিয়ে হয়। এটা তার দ্বিতীয় বিয়ে। ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে পাশ্ববর্তী একতারপুর বাজারে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে শশুরবাড়ি থেকে বের হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে খুলনা থেকে ঢাকাগামি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়। তবে সে আত্মহত্যা করেছে না অন্য কোন কারণে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে তা জানা যায়নি। নিহত মানিক মিয়া ঢাকার গাজিপুর এলাকায় একটি পোশাক কারখানার চাকরি করতেন।
কালীগঞ্জ থানার পলিশ এসআই প্রকাশ কুমার জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে, তাই মরদেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ নিয়ে গেছে। তবে তার কাছে থাকা ২৩০০ টাকা আমি হেফাজতে নিয়েছি। এটা নিহতের পারবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মোবারকগঞ্জ রেলষ্টেশনের মাস্টার শোভন রায় নিহতের ঘটনা নিশ্চত করে জানান, ঘটনা জানার পর যশোর রেল পুলিশকে জাননো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।