রাজশাহীর বাঘায় শিশু ঈশা হত্যার ৩৭ দিনেও রহস্য উদঘাটন হয়নি। হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে রোববার (১২ মার্চ) পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে শিশু ঈশা খাতুন হত্যার নেপথ্যে রয়েছে মাদক। তার কানে স্বর্ণের দুল ছিল। কানের দুল ছিনিয়ে নিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে জীবন দিতে হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এমন মন্তব্য করেন বাঘা থানার উপপরিদর্শক প্রজ্ঞাময় মন্ডল। তিনি জানান, মাদক সেবীরা টাকা জোগাড় করতে শিশু ঈশাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের ধারণা। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, আমি থানায় নতুন যোগদান করেছি। ঘটনাটি ইতিমধ্যেই জেনেছি। ঈশা হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি আড়ানী রেলস্টেশন সংলগ্ন নুরনগর গ্রামের বাড়ির পাশে থেকে ঈশা নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের আট দিনপর ৯ ফেব্রুয়ারি আড়ানী ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রের পাশে গম খেত থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু ঈশা খাতুন (৫) উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার আড়ানী রেলস্টেশন সংলগ্ন নুরনগর গ্রামের ইউসুফ আলীর কন্যা।