সৈয়দপুরের পার্শ্ববর্তী চিরিরবন্দর উপজেলার নওখৈর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভা করেছে। গত ১১ মার্চ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটোকে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলেমান আলী। এ সময় প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমানের অনিয়ম,দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন,আবুল হাসনাত মুক্তা,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন,ফরহাদ হোসেন, অভিভাবক লিয়াকত আলীসহ অনেকে। তারা বলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমান একজন অর্থলোভী মানুষ। তিনি ইতঃপূর্বে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে নাইট গার্ড পদে একজনকে চাকুরী দেন। এরপর প্রায় ৩ বছর পুর্বে ক্লার্ক পদে চাকুরী দেবেন এমন কথা বলে ৯০ হাজার টাকা একজনের বিভিন্নভাবে ব্যয় করান। ওই প্রধান শিক্ষক তিনটি পদে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবার প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা করছেন। তিনি অফিস সহকারী কাম ক্লার্ক পদে হাসনুল ইসলাম হাসু নামে একজনকে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে তিন বছর থেকে তালবাহানা করে আসছেন। ওই পদে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শরিফ হোসেন শাহ তার নিজের সন্তান নুরুন্নবী ওরফে তন্ময়কে নিয়োগ দেবেন বলে গোপনে গোপনে প্রধান শিক্ষকের সাথে বৈঠক করে চলছেন। এদিকে পিয়ন পদে দর কষাকষি করে স্থির করা হয়েছে ১১ লাখ টাকা। ক্লিনার পদেও চলছে দরদাম। সভাপতি শরিফ হোসেন শাহসহ প্রধান শিক্ষক ওই নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সরাসরি জড়িত।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরো বলেন,আমরা এলাকাবাসী কোনভাবেই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের অন্যায় অনিয়ম মেনে নেব না। আমরা তার অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত দাবি করছি। সেই সাথে গোপন নিয়োগ বাতিল করে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ১২ মার্চ প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমরা দুটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তিন পদে আবেদন পড়েছে বেশ কয়েকটি। এখনও নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়নি। তার আগেই বাইরে অন্যায় অনিয়মের কথা উঠেছে। এগুলো সঠিক নয়। তবে তিনি বলেন ইতঃপূর্বে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে আমরা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন তহবিলে ৫ লাখ করে টাকা নিয়েছি। এটা নেয়ার নিয়ম রয়েছে। এদিকে সভাপতি শরিফ হোসেন শাহ বলেন,আমার ছেলে ক্লার্ক পদে আবেদন করেছে। কার চাকুরী হবে তা নির্ধারণ করবে নিয়োগ কমিটি। অর্থগ্রহণের বিযয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রমজান আলি বলেন, আমি কোন কিছু জানি না। তবে লোকমুখে শুনছি টাকা নেয়ার বিষয়টি।