ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তাহমিনা আক্তার(২৬) নামে এক মায়ের বিরুদ্ধে তার দুই মাস বয়সী শিশু সন্তান সাইমকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে তাহমিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দেরপাড়া গ্রামে। শিশু সাইম উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মো. খোকন মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানা যায়, প্রায় ১১ বছর পূর্বে তাহমিনা ও খোকন মিয়ার মধ্যে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরইমধ্যে তাদের ঘরে ৪টি সন্তান জম্ম নেয়। সর্বশেষ ছোট ছেলে সাইম জন্ম নেয়ার পর তার নাম রাখার সময় খাবারের আয়োজন করে খোকন মিয়া। কিন্তু তাহমিনার বাবার বাড়ির কম লোকনজনকে দাওয়াত দেয় খোকন। এ অভিযোগ এনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হয়। পরের দিন রাগ করে তাহমিনা তার বাবার বাড়ি পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে চলে আসে। সেখানে এসে খোকনকে ফাঁসানোর ফন্দি করে তাহমিনা। এরপর শনিবার রাতে শিশু সাইমকে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয় তাহমিনা। ওই দিন রাতেই তাহমিনা পাড়ার সবাইকে বলতে থাকে খোকন এসে তার শিশু সন্তান সাইমকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরদিন রোববার সকালে স্থানীয়রা পুকুরে গোসল করতে গেলে একটি লাশ দেখতে পায়। তখন পুলিশ এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। তাহমিনাকে আটক করে পুলিশ। নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুল্লাহ সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহমিনা আক্তার তার শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী খোকন মিয়া বাদী হয়ে স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।