দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মানুষ আসলে কেনাকাটা করতে পারছে না। চিনির দাম ১২০ টাকা, গরুর মাংস ৮০০ টাকা। গরু ও মুরগির মাংস ভাগ করে কেনার রেওয়াজ এ দেশে ছিল না। ইলিশ মাছও কেটে ২০০ গ্রাম করে কেনার রেওয়াজ ছিল না দেশে। তিনি বলেন, আজ কিন্তু বাজারে তা দেখা যাচ্ছে। তাতে যদি সরকার বলে সবকিছু মজুত আছে কি রকম চাপাবাজি করছে সরকার! বাজারে গিয়ে দেখেন মানুষ সরকারের ওপর কী পরিমাণ ক্ষুব্ধ। এরপরও এ সরকার চাপাবাজি করছে। আমরা জানতে চাই-এ খাদ্যপণ্য যদি এতই মজুত থাকে তাহলে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে কেন? সরকার সুস্পষ্ট জবাব দিক। সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মোশাররফ বলেন, গণমাধ্যমে এসেছে নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। রমজানে মানুষ কীভাবে চলবে তা ভেবে দিশেহারা। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে-দেশে নাকি নিত্যপণ্যের মজুত প্রচুর আছে। জনগণকে বলেছে- আতঙ্কিত হয়ে বেশি কেনাকাটা করবেন না। তিনি বলেন, জনগণের টাকা লুট করার জন্যই এ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। সরকার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেগা প্রজেক্ট করে লুটপাট করছে, ব্যাংক লুট করছে। যাদের ঋণ দিয়েছে তাদের কোনো পরিচয় নেই। তাদের লোক বলে ঋণ দিয়েছে। এ লুটপাটের কারণে অর্থনীতি এখন ধ্বংস। মোশাররফ বলেন, বিদ্যুতের দামও প্রতি মাসে বাড়ানো হচ্ছে। কীসের জন্য? ইনডেমনিটি দিয়ে সরকার বিদ্যুৎ সেক্টরের লুটেরাদের রক্ষা করেছে। টাকা পাঁচার ও দুর্নীতিকে ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, চাপাবাজি করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার। কিন্তু এভাবে কোনো সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। জনগণ বুঝতে পেরেছে এ সরকারকে সরানো ছাড়া দেশের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করা সম্ভব নয়। জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মৃত্যুকুপে ধাবমান বাংলাদেশ’ নামে দুই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল কুদ্দুস। এতে বক্তব্য দেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়া পরিষদের আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব এমতাজ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, জিয়া পরিষদের আব্দুল্লাহিল মাসুদ, শফিকুল ইসলাম, আবু জাফর প্রমুখ।