চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ১০ গৃহস্থের সবগুলো বসতঘরসহ ১৮ টি ঘর আগুনে পুড়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। এতে করে ঐ সকল সাবলম্বী কৃষকের মাটি ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট রইলো না। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার
কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের জলিল মুন্সী বাড়িতে এ আগুনের এ ঘটনা ঘটে। এতে করে কমপক্ষে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, ঐ বাড়ির তাজুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন, আবদুল কুদ্দুস, মোয়াজ্জেম হোসেন ও শুকুর আলম, মৃত আবদুর রশিদ মুন্সীর ছেলে ফজলুল হক, ফজলুল হকের ছেলে খোরশেদ আলম ও মো. জুলহাস, মৃত আবদুর রব মুন্সীর ছেলে ওমর ফারুক ও সুফিয়ান হোসেন, মৃত বজলুল হকের ছেলে রবিউল আলম।
ক্ষতিগ্রস্থরা পরিবারগুলোর কয়েকজন পুরুষ জানান, একটি ঘর থেকে আগুন লেগে পুরো বাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আমরা পুরুষরা মাঠে কাজ করারর কারণে মহিলারা কিছুই সরাতে পারেনি। হাজীগঞ্জ থেকে আমাদের গ্রামটি দূরে হওয়ার কারণে দমকল বাহিনী আসতে আসতে সব শেষ হয়ে গেছে।
ঐ বাড়ির প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ মোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী ফজিলতেচ্ছা (৬০) জানান, দুপুরের দিকে রান্না ঘরে বসে রান্না করছি। ঘরের চালের উপরে থাকা বিদ্যুতের তার ঠুস করে শব্দ হয়। দৌড় দিয়ে ঘরে আসি মেইন সুইচ বন্ধ করতে কিন্তু ঘরে ডুকে দেখি পুরো ঘরে আগুন জ¦লছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান পলাশ জানান, বাড়ির প্রতিটি পরিবার সাবলম্বী কৃষক। বাড়ির প্রতিটি ঘরে টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, ফার্নিচার, আসবাবপত্র,
বাড়ির সবার বসতঘরে থাকা নগদ টাকা, কয়েকটি পাসপোর্ট, দুটি ভিসা, স্বর্নালংকার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া ও নতুন বছরের ফসল ধান, সরিষা, আলু, জীবন্ত গরু সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানিয়া জানান, আমরা তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করি কিন্তু বাড়িটি ঘনবসতি হওয়ার কারণে পুরো বাড়িতে মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
হাজীগঞ্জ দমকল বাহিনীর সিনিয়র ষ্টেশান কমান্ডার সাজেদুল কবির জোয়াদ্দার জানান, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদি হাসান মানিক চাঁদপুর কন্ঠকে জানান, আমরা তাৎক্ষনিক ডিসি স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। স্যারের পরামর্শে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি সরজমিন পরিদর্শন করে প্রতি পরিবারকে কম্বল, চাউল, ডাউল, মশলা,তেলসহ খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে।