রংপুরের পীরগঞ্জে এক কৃষকের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। এজন্য ক্ষতিগ্রস্থ পারিবার বিষয়টিতে আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে,গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার ১২নং মিঠিপুর ইউনিয়নের দুরামিঠিপুর মাঝি পাড়ার কৃষক মনিন্দ্র চন্দ্রের বাড়ীতে এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তার বসতবাড়ী, মন্দীর, নগদ টাকাসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল আগুনে ভস্মিভুত হয়েছে। অগ্নিকান্ডের কারণ সম্পর্কে মনিন্দ্র তাৎক্ষনিক কিছু জানতে না পারলেও পরে তারা অনেকটাই ধারনা করেন প্রতিপক্ষ সুধীন চন্দ্রের লোকজন কর্তৃক এ আগুন লাগানো হয়েছে। মনিন্দ্রর পক্ষের লোকজনের ধারনা দীর্ঘ দিন ধরে একই মহল্লার সুধীন চন্দ্রের লোকজনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে চলতি সনের ফেব্রুয়ারীতে সুধীন চন্দ্রের লোকজন মনিন্দ্র’র পক্ষের লোকজনকে প্রহার করেছিল। যে ঘটনায় মনিন্দ্রর স্ত্রী বুলু রাণী থানায় মামলা করেন। যার নং-০৩/৯৬। যে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ দিকে ওই মামলায় আসামিরা জামিনে এসে মনিন্দ্র’র পক্ষের লোকজনকে মারপিট ও বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে উচ্ছেদের হুমকি দিতে থাকে। মনিন্দ্রদের ধারনা তাদের প্রতিপক্ষরাই এ অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ মনিন্দ্র এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সোমবার থানায় একটা অভিযোগ দাখিল করেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগের কোন তদন্ত হয়নি। অপর দিকে প্রতিপক্ষ সুধীন এর লোকজন অগ্নিকান্ডের পরপরই ক্ষতিগ্রস্থ মনিন্দ্র’র পুর্বেই থানায় এসে অপপ্রচার করতে থাকে যে, মনিন্দ্রর লোকজন এ অগ্নিকান্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এখনও মামলার তদন্ত বা মামলা রুজু হয়নি। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার ক’জনের সঙ্গে কথা হলে তারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় অভিন্ন মতামত ব্যক্ত করে বলেন-সুধীন চন্দ্র প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস করছে না। সুধীন চন্দ্র তার বক্তব্যে বলেন, আমি কি ভগ্নিপতির ঘরে আগুন দিতে পারি ? এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,অভিযোগ পাওয়া গেছে,তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। সার্বিক এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ মনিন্দ্র অনেকটাই কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েছেন। তিনি জানেন না আদৌ তিনি অগ্নিকান্ডের ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার পাবেন কি না ? তাই তিনি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন।