খুলনার পাইকগাছায় জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জমির মালিক অনিমেশ সানা ২ জনপ্রতিনিধি সহ ৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের চারবান্ধা গ্রামের বাসিন্দা অনিমেশ ওয়ারেশ সূত্রে চারবান্ধা বাজারস্থ চারবান্ধা মৌজার ৬৩ খতিয়ানের ৬, ২৫ ও ২৮দাগের ১.৩০ একর জমির মধ্যে ২২শতাংশ পৈত্তিক সম্পত্তি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার পূর্বপরিকল্পিত ভাবে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম গাজী তার লোকজন নিয়ে ওই জমি তার দাবি করে জোরপূর্বক দখলে নিয়ে সেখানে ঘর নির্মাণ করে। এ সময় অসহায় অনিমেশ দম্পতি বাধা দিতে গেলে তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমনকি ভবিষ্যতে ওই জমির উপর গেলে পরিণাম ভয়াবহ হবে বলেও হুমকি দেয়। ফলে তারা বাধ্য হয়ে বাধা প্রদান থেকে বিরত থাকেন। তবে এ কাজে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের পরোক্ষ ইন্দন সহ তার লোকজনরা জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে জমির মালিক অনিমেশ থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম গাজী, তার ভাই সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যানে আবদুল মান্নান গাজী এবং পাটকেলপোতা গ্রামের জাফর মোড়ল ও রবিউল মোড়ল। অনিমেশ সানা বলেন, আমার জমিটুকু দখল করে নেয়ায় নিশ্ব হয়ে পড়েছি। আমার কোনো লোক না থাকায় জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। কোনো উপায় না পেয়ে সু-বিচারের আশায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য রবিউল গাজীর বলেন, আমি ওই খানে ২শতক জমি ক্রয় করে ঘর নির্মাণের কাজ করছি। আমি অনিমেশের সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ করছি না। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান গাজী জানান, এ বিষয়ের সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্ঠতা নেই। ঐদিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। অহেতুক ওরা আমাকে জড়িয়েছে এবং ওদের ভিতরে আমার ও আমার ভাই রবিউল ইসলামের কোনো জমি নেই। থানার এসআই হাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।